পাল্প ফিকশনের আধারে ছবি বানালেন দেবালয়। তাঁর যে বহুদিনের স্বপ্ন ছিল স্বপনকুমারকে নিয়ে ছবি বানাবেন। আর সেই ‘ড্রিম প্রজেক্ট’-এ গল্পের লেখককে সোজা পর্দায় নিয়ে চলে এলেন। পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে বিস্মৃত লেখক স্বপনকুমারের কল্পনার জগৎ তুলে ধরতে চাইলেন। বাংলা সিনেমার বাঁধাধরা গোয়েন্দা-অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়কেও আনলেন। তবে একটু অন্যভাবে। তাঁর ব্যোমকেশ-ফেলুদার ইমেজ ভাঙার জন্য এমন এক গোয়েন্দার চরিত্রে তাঁকে কাস্ট করলেন, যেখানে সে বড় ক্লান্ত। যেখানে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলে সে। সত্যান্বেষী-সত্তা যেন আতসকাচের তলায়।
advertisement
নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পরিচালক দেবালয় স্পষ্ট জানালেন, কথা বলতে বলতে, আড্ডা মারতে মারতেই তাঁর মাথায় এসেছে যে আবিরের গোয়েন্দা-সত্তাটিকে ভেঙে নতুন কিছু করা দরকার। আর তার জন্য দীপক চ্যাটার্জির থেকে ভাল কে-ই বা হতে পারে।
খোদ লেখক স্বপনকুমারকেই কেন চরিত্র হিসেবে নিয়ে এলেন নিজের ছবিতে?
দেবালয়ের কথায়, ‘‘আমাদের চারপাশের শহরটা খুব একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। তার গোয়েন্দারা, গোয়েন্দা গল্প নিয়ে ছবিগুলি বড্ড নীরস হয়ে গিয়েছে। এখানে কল্পনা হারিয়ে যাচ্ছে। শহরটায় লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র দেওয়ার জন্য আমার স্বপনকুমারকে দরকার ছিল গল্পে। তাঁর জগৎটাকে দরকার ছিল। তাঁর চোখ দিয়ে এই শহরটাকে দেখা হবে।’’
আরও পড়ুন: বিদেশে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক! আজারবাইজানে শ্যুটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ প্রখ্যাত আর্ট ডিরেক্টর
স্বপনকুমারের গল্পে ভিলেনগুলিও তাঁর কল্পনারই। তারাও আসে রূপকথার জগৎ থেকেই। কেউই হয়তো একটা বাদামি হায়নাকে খলচরিত্র হিসেবে মানতে পারবে না। কিন্তু দীপক চ্যাটার্জির জগতে এই রূপকথার চরিত্ররাই খলনায়ক হয়ে আসে। স্বপনকুমারের আর্বান রূপকথাকেই নিজের ছবিতে তুলে আনছেন দেবালয়।
যে লেখককে বাঙালি মনে রেখেছে ‘কী হইতে কী হইয়া গেল, ইহার বন্দুক উহার হাতে চলিয়া গেল’, বা ‘ঢং ঢং ঢং করে ঘড়িতে একটা বাজিল’ অথবা ‘দুই হাতে দু’টো বন্দুক, আর এক হাতে একটা টর্চ’-র মতো লেখা দিয়ে, তাঁর জগৎকেই পাল্পের আধারে নিয়ে আসবেন দেবালয়। সঙ্গী হবে আবির-পরান জুটি।