একটা সময় বলিউড থেকে সন্ন্যাস নিতে চেয়েছিলেন মণীষা। অভিনয় জীবন আর তাঁর ভাল লাগছিল না। তিনি ‘বোরড’ হচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন বলিউডের আরেক বলিষ্ঠ অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া। তবে ডিম্পলের পরামর্শ মনে ধরেনি মণীষার। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মণীষা নিজেই জানিয়েছেন এই কথা।
আরও পড়ুন- রমরমিয়ে ভাড়াবাড়িতে চলছিল মধুচক্রের আসর, পুলিশ হানা দিতেই যা দেখল…! শুনলে শিউরে উঠবেন
advertisement
প্রতিদিন সকালে উঠে মেকআপ, তারপর শ্যুটিং। পরদিন আবার সেই এক রুটিন। মেকআপ আর শ্যুটিংয়ের বাইরে যেন দুনিয়ায় আর কিছু নেই। এভাবে চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন মনীষা। বিরক্তি নিয়ে ডিম্পল কাপাডিয়াকে বলেই ফেলেছিলেন, “অভিনয় করতে আর ভাল লাগছে না।”
মণীষার নিজের কথায়, “আমার মনে আছে ডিম্পলজিকে কথাটা বলেছিলাম। একটা ছবির শ্যুটিং চলছিল। তিনিও ছিলেন। আমি ডিম্পলজিকে বললাম, ‘অভিনয় করতে আর ভাল লাগছে না।‘ তখন ডিম্পলজি বলেছিলেন, ‘উপভোগ করুন। চিরকাল এই সময়টা থাকবে না।‘ খুব ভাল কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই সময় এই পরামর্শ আমার মোটেই ভাল লাগেনি। মনে মনে ভাবছিলাম, ‘এটা আবার কী ধরণের কথা। আরে আমি অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি, এটা আপনি বুঝতে পারছেন না।‘ আসলে আমার ভিতরে তখন অন্য কিছু চলছিল।”
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময় শুরু…! শুক্রের গোচরে ৩ রাশির চরম আর্থিক সঙ্কট, অশুভ প্রভাবে জীবন ছারখার!
কেন ক্লান্তি? কেন অভিনয় করতে আর ভাল লাগছিল না মণীষা কৈরালার? অভিনেত্রী বলছেন, “একটানা কাজ, কোনও ছুটি নেই। বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।” এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই ডিম্পল কাপাডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিলেন মনীষা। অভিনেত্রী বলেন, “হাতে তখন অনেক কাজ। একসঙ্গে অনেকগুলো সিনেমার শ্যুটিং চলছে। প্রতিদিন সকালে উঠে দুই থেকে তিন ঘণ্টা মেকআপে বসতে হত। তিন শিফটে তিনটি আলাদা সিনেমা। একটা শেষ করেই আরেকটার শ্যুটিং। দিনের ১৫ ঘণ্টা সেটেই কেটে যেত। জীবনে ছুটি বলে কিছু ছিল না। রবিবারেও কাজ করতে হত। সপ্তাহে ছ’দিন কাজ তখনও শুরু হয়নি। বছরে ৩৬০ দিনই শুধু কাজ আর কাজ। কোনও ছুটি নেই, কোনও ব্রেক নেই। মনে হয়, সেই কারণেই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।”