আগামী ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পাবে কলকাতা শহর এবং বাংলার অন্যান্য জেলায়। এ ছাড়া ৩০ ডিসেম্বর 'হাওয়া' মুক্তি পাবে দেশের অন্যান্য রাজ্যে। রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট-এর রিলিজ চেন কলকাতা-সহ বাংলায় ছবিটি ডিস্ট্রিবিউট করছে।
এসএসআর সিনেমা-র ডিরেক্টর শতদীপ সাহা বলেছেন, ''ছবিটি কলকাতা শহর কেন্দ্রিক প্রেক্ষাগৃহে কেবল মুক্তি পাচ্ছে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা যেমন ত্রিপুরাতে মুক্তি পাবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বনগাঁ, বশিরহাটের মতো জায়গাগুলির প্রেক্ষাগৃহেও ছবিটিকে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।''
প্রতি দিন নন্দনে ঢোকার লাইন ছাড়িয়ে গিয়েছিল শিশির মঞ্চের গেটটি। গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নন্দন ১, ২ এবং ৩ নম্বর স্ক্রিনে বাংলাদেশের একাধিক ছবির সঙ্গে মেজবাউর রহমান সুমনের 'হাওয়া' দেখানো হয়েছিল। তাও শহরের কত শত মানুষ এই ছবি দেখতে পাননি।
আরও পড়ুন: ১৫ দিন একটানা ওকে ছেড়ে থাকতে পারি না, সেখানে ৪৫! 'হাওয়া'র শ্যুটিং নিয়ে চঞ্চল
নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময়ে চঞ্চল নিজেই বলেছিলেন, ''নন্দনের সামনে দিয়েই যাতায়াত করতাম তখন। উত্তেজনা তো কাজ করেই। আমার কাজ এখানে দেখানো হচ্ছে। হলে চলছে। প্রচুর পরিমাণ দর্শক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। ফিরে যাচ্ছেন। তাঁদের জন্য আমার একটু কষ্ট হয়েছে। এ দেশে যদি সিনেমাটা রিলিজ হত, তাহলে সবাই দেখতে পেতেন। তবে হবে। খুব তাড়াতাড়িই 'হাওয়া' মুক্তি পাবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।''
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ‘হাওয়া’, আসছেন চঞ্চল চৌধুরীও
যাঁরা ছবিটি দেখতে না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য চঞ্চলের বার্তা ছিল, ''রাগ করবেন না, ভবিষ্যতে সিনেমাটা রিলিজ করানো হবে এখানে।''
আর খুব তাড়াতাড়িই চঞ্চলের কথা সত্যি হল। ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে এপার বাংলার প্রেক্ষাগৃহে। আবারও কলকাতায় গুনগুন করে গাওয়া হবে 'সাদা সাদা কালা কালা, রং জমেছে সাদা কালা'।