গত ২৪ অগস্ট ইডি চেন্নাইয়ে একটি সমুদ্র সৈকতের উপর তৈরি বিলাসবহুল বাংলো বাজেয়াপ্ত করেছিল। এর সঙ্গে প্রায় ৮২.৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রায় এক ডজন বিলাসি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই প্রতিটি জিনিস সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতারণা মামলার সঙ্গে যুক্ত। দিল্লির আর্থিক তছরুপ শাখার কাছে সুকেশের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও সুকেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তোলাবাজি মিলিয়ে মোট ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। কী ভাবে এই সুকেশের সঙ্গে যোগ তৈরি হয়েছে জ্যাকলিনের তাই জানতে চায় ইডি।
advertisement
গত ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা করা হয় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে নিয়ে। আর্থিক তছরুপের মামলায় ফেঁসেছেন বলিউড সুন্দরী। খোয়া গিয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এদিন রেকর্ড করা হয় জ্যাকলিনের স্টেটমেন্ট। জানা যায়, ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে এক ব্যক্তি অভিনেত্রীর থেকেও টাকা নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, সাক্ষী হিসেবে যার জেরা চলছিল, সে নিজেই প্রতারণার শিকার। ইডি সূত্রে খবর, জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখর ও তাঁর প্রেমিকা লীনা পালের কথায় ফেঁসে গিয়ে খুইয়েছেন প্রচুর অঙ্কের টাকা। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে এসেছে বহু জরুরি তথ্য। জেলে বসেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল সুকেশ। আপাতত রোহিনী জেলে আছে সে।
আরও পড়ুন: 'মানিকে মাগে হিথে' গায়িকা ইয়োহানি ভারতে আসছেন, কবে কোথায় তাঁর অনুষ্ঠান? জানুন
সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ এক বছরে তাঁর ২০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই সূত্র ধরেই জ্যাকলিনের সাক্ষ্য নিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কাকতালীয়ভাবে জ্যাকলিনের প্রেমিকও এক ব্যবসায়ী। দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই একটি বিলাসবহুল বাংলো কিনেছিলেন অভিনেত্রী, সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: 'আমি ভেঙে পড়েছি, টাকার প্রয়োজন খুব', চরম অর্থসংকটে অমিতাভের 'অগ্নিপথ'-এর এই সহ-অভিনেতা!