ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য চমকপ্রদ অফার এবং ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে কী কী চ্যালেঞ্জ এসেছিল, সেই সমস্ত কথা স্মৃতিচারণ করে নিজের সিরিজ ‘আর্যা’-র প্রচারের সময় এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।
কুকুরের কামড়ে মারা গিয়েছিল ছাগল, সেই ছাগলের মাংসে বিষ মেশাতে মৃত ১৩টি কুকুর!
ফুটছে না বেলফুল? সাবান জলেই হবে কাজ…ভুরভুর করবে গন্ধ! সাদা ফুলে ভরে উঠবে টবের গাছ
advertisement
সুস্মিতা সেনের কথায়, “মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন আমায় কল করে বলেছিল যে, আপনি কি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটা নিতে চান? আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনি, বলেছিলাম, কী? সত্যিই? এটা তো অনেকটা স্বপ্নের মতো! আমি যখন ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব নিই, তখন একটি ভাল কন্ট্র্যাক্ট বা চুক্তি স্বাক্ষর করি। আর সেই সময় ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের — যার ফলে বিষয়টি সহজ কিংবা মজাদার কোনওটাই ছিল না।”
অভিনেত্রী ব্যাখ্যা করে এ-ও জানান যে, “সরাসরি ভাবে অবশ্য ট্রাম্প তাঁর বস ছিলেন না। সুস্মিতা দাবি করেন যে, সৌভাগ্যবশত শুধুমাত্র যাঁরা সেই সময় আমার বস ছিলেন, তাঁরা হলেন Paramount Communications এবং Madison Square Garden। কারণ তাঁরাই মিস ইউনিভার্সের মালিক ছিলেন, মানে যে সময়টায় অর্থাৎ ১ বছরের জন্য আমি মিস ইউনিভার্সের কর্মচারী ছিলাম। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আমি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালকিন হয়েছিলাম।”
এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত থাকার দরুন ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল সুস্মিতার। তবে সেই বিষয়ে সেরকম আলোচনা করতে চাননি অভিনেত্রী। তিনি বলেন যে, “মূল বিষয়টা হল, এটা এখন কোনও ব্যাপারই নয়।” কিন্তু ট্রাম্প তাঁর উপর কী ছাপ ফেলেছিলেন, সেই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী বলেন যে, “কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা প্রভাব বিস্তার করেন, তবে তাঁদের কৃতিত্ব অথবা ক্ষমতার কারণে নয়। শুধুমাত্র মানুষ হিসেবেই ছাপ রাখেন। তিনি তাঁদের মধ্যে পড়েন না।”
প্রসঙ্গত ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের মালিকানা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। সেই সময় আসলে রাজনীতিতে পদার্পণ করার আগের পর্যায়ে নামজাদা বড় ব্যবসায়ী ছিলেন ট্রাম্প। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫-তম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সামলেছেন সেই পদ। ২০২০ সালে নির্বাচনে হারার পর ২০২৪ সালে ফের নির্বাচনে লড়াই করেন। তারপর ৪৭-তম প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর নতুন মেয়াদ।