মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় হু-হু করে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর কাজলের এহেন আচরণে যারপরনাই হতাশ নেটিজেনরাও। বহু ব্যবহারকারীই অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। এমনকী হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না করার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁকে।
advertisement
এক ব্যবহারকারী তো লিখেই দিয়েছেন যে, “যদি হিন্দি ভাষায় কথা বলতে তিনি অস্বস্তি বোধ করেন, কিংবা লজ্জিত বোধ করেন, তাহলে ওঁর বলিউড হিন্দি ছবিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়াই উচিত। কারণ এই দ্বিচারিতার আচরণ ত্যাগ করাই ওঁর জন্য শ্রেয়।” আর এক নেটাগরিক লিখেছেন যে, “উনি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করছেন কেন? শুধু মরাঠি ছবিতেই কাজ করতে পারেন তো। আর হিন্দিকে যদি সম্মান করতে না পারেন কিংবা ঘৃণা করেন, তাহলে আপনারা নিজেদের ছবির অনুবাদ হিন্দিতে কেন করেন বলুন তো?”
আসলে সম্প্রতি মহারাষ্ট্র জুড়ে ভাষা সংক্রান্ত বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই বিতর্কের পরিস্থিতিতেই কাজলের এহেন মন্তব্যের কারণে বিতর্ক আরও তীব্র আকার নিয়েছে। মহারাষ্ট্রে দাবি উঠেছে যে, সেই রাজ্যে বসবাস করতে হলে মরাঠি ভাষায় কথা বলতে হবে। যদিও চলতি বছরের এপ্রিলে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। সেই সময় স্কুলগুলিতে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক ভাবে তৃতীয় ভাষা করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত পাশ করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করার সময় বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেখানে জানা গিয়েছিল যে, মুম্বই এবং পুণেতে যাঁরা মরাঠি ভাষা বলতে অস্বীকার করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিযুক্ত এমএনএস কর্মীরা।
এর আগে ভাষা বিতর্ক প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী রেণুকা সাহাণে। তিনি বলেন যে, “যদি আপনি কোনও জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে থাকেন, তাহলে স্থানীয় ভাষা, স্থানীয় সংস্কৃতি বোঝা এবং অন্য যে কোনও কিছুর তুলনায় বেশি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ভাল… এটা শুধু কথা বলার ব্যাপার নয়, বরং এটাকে সম্মান করার ইচ্ছার চেয়েও বেশি কিছু। আমি এমন মানুষদের পছন্দ করি না, যাঁরা স্থানীয় ভাষা এবং স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না।”