একইসঙ্গে দিপ্সা জানালেন, বিদিশার আরও কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে তিনিও আগামী কাল, রবিবার বিদিশার নৈহাটির বাড়িতে যাবেন। দেখা করবেন তাঁর বাবা, মা আর বোনের সঙ্গে। বিদিশার বাবা পরিকল্পনা করেছেন, বিদিশার স্মৃতিতে পথপশু এবং গরিব মানুষদের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেবেন।
আরও পড়ুন: পল্লবীকে ভুলতে পারছেন না প্রত্যুষা, শেয়ার করলেন দু-বছর আগের সুখস্মৃতি...
advertisement
দিপ্সার কথায়, ‘‘আমাদের বন্ধু বিদিশা কুকুর বেড়াল নিয়ে মেতে থাকত। ওদের খাওয়ানো, আদর করা, এ সবেই ব্যস্ত থাকত সে। তাই কাকু (বিদিশার বাবা) স্থির করেছেন, মেয়ের জন্যেই নৈহাটির স্টেশনের কাছে রাস্তার দুঃস্থ মানুষদের এবং রাস্তার কুকুর, বেড়ালদের খাওয়ানো হবে। ৫০টি প্যাকেট তৈরি করতে দিয়েছেন বিদিশার বাড়ির লোকেরা। আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করব কাকুকে। কাল গিয়ে বিদিশার জন্য এই কাজটি করে আমাদেরও ভাল লাগবে। বিদিশার একটা খরগোশও ছিল। ওর নাম দিয়েছিল কুতু। সারা ক্ষণ খেলা করত ওরা। কুতুর জন্যে মন খারাপ করছে।’’
দিপ্সা জানালেন, গত কয়েক দিন ধরে যা ঝড় তাঁদের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে, তাতে খাওয়া দাওয়া করার ইচ্ছেও নেই তাঁদের। খুব কাছের মানুষকে হারিয়ে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত বিদিশার বন্ধুরা।
আরও পড়ুন: 'আমি একা হয়ে যেতে চাইতাম, খুব একা', সুইসাইড নোটে কেন এমনটা লিখলেন বিদিশা?
সম্প্রতি বিদিশার সুইসাইড নোটটির কথা জানা গিয়েছে। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি আমার কেরিয়ারে প্রবলেমের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি অনেক অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি সুইসাইড করতে বাধ্য হচ্ছি।’ বার বার বিদিশা লিখেছেন কেউ দায়ী নয় তাঁর মৃত্যুর জন্য। বিদিশা লিখছেন, ‘মা বাবা এবং পার্সোনাল লাইফে কেউ দায়ী নয়। আমি একা থাকতে চাইতাম। খুব একা হয়ে যেতে চেয়েছি।’ বিদিশা আরও লিখছেন, ‘জানি না আমি পারব কিনা। এত বড় কাজটা করতে। তার জন্য অনেক সাহস দরকার। এর আগে একদিন চেষ্টা করেছি কিন্তু সাহস হয়নি। খুব ভয় পেয়েছিলাম তাই হয়নি।’