এই বিষয়ে নিউজ ১৮ বাংলায় কথা বললেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, "একদিকে যেমন মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন। তেমনই একটা কোমল মনও তো থাকে! দুটোর সহাবস্থান কঠিন। অভিনেতার একটা কোমল মন লাগে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি বা এই জগতের সঙ্গে যুঝে ওঠার জন্য মানসিক দৃঢ়তা লাগে। এই দুটোকে ব্লেন্ড করা খুব কঠিন। আত্মহত্যার নির্দিষ্ট কোনও কারণ বা রেসিপি আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর প্রতিটা আত্মহত্যার পিছনে ভিন্ন কারণ আছে। এই পেশা বা ওই পেশা বলে নয়। অবসাদ আমাদের মধ্যে অনেক বেড়ে গিয়েছে। দুঃখজনক ভাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে মানসিক চিকিৎসা এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। যেটা আমার মনে হয় খুব দরকার।"
advertisement
আরও পড়ুন- সোনালি বেন্দ্রের সঙ্গে এক পর্দায় সঞ্জিতা ভট্টাচার্য! অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন বঙ্গতনয়া
রাহুল বলছেন, "পারফর্মিং আর্টসের সঙ্গে জড়িত সকলের কাউন্সেলিং করানো উচিত সব সময়ে।" রাহুল বলছেন, "আমার একটাই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তুমি আসবে বলেই ধারাবাহিকের সময়ে দিশা গঙ্গোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছিলেন। তার আগের দিন আমার সঙ্গে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলছিল। আমায় সাহায্য করেছিল। অতএব এই আত্মহত্যার ভাবনা হঠাৎ আসে বলেই আমার বিশ্বাস। এই সময়ে পাশে একটা কেউ থাকা দরকার যে থামিয়ে দিতে পারে।"
পল্লবী ও বিদিশা দুজনেই পরিবারের থেকে আলাদা থাকতেন। এই বিষয়ে রাহুল বলছেন, "বহু ছেলেমেয়েরাই বাইরে থেকে কলকাতায় এসে থাকছেন অভিনয় করবেন বলে। এখানে পিজি অথবা ফ্ল্যাটে থাকছেন যেটা খুব ভাল। কিন্তু দিনের শেষে একটা ঘরে ফেরার বারান্দা লাগে, বাবা মায়ের কাছে ফেরার টান লাগে। কলকাতা শহর দৌড়য়। সবাই ব্যস্ত। তখন কিন্তু একটু একাই লাগে অনেকের।"
প্রসঙ্গত, বুধবার দমদম নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বিদিশার ঝুলন্ত দেহ। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। সেই সুইসাইড নোটে বিদিশা লেখেন যে তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। যদিও বিদিশার বান্ধবী দিয়ার দাবি, অনুভব আরও সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। সেই কারণেই সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং এই চরম সিদ্ধান্ত বেছে নেন বিদিশা।