ছবিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায় ও খরাজ মুখোপাধ্যায় । পরান বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, 'স্মার্টফোন ব্যবহারের ব্যাপারে আজও তিনি বেশ আনস্মার্ট । ঠিকঠাক স্মার্টফোনের ব্যবহার আজও তাঁর শিখে ওঠা হয়নি । তবে এর জন্য তিনি কাউকে দায়ী করতে নারাজ। তাঁর মতে, যুগ বদলাবে তার সঙ্গে টেকনোলজিও বদলাবে । আর বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়াই হল জীব ন। বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ এ তর্ক যুগ যুগ ধরে চলছে। তবে বিজ্ঞানকে আশীর্বাদ হিসেবে ব্যবহার করলেই প্রত্যেক জনজাতির উন্নতি নিশ্চিত হবে " ।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘আমার গর্ব...আমার ছেলে’, অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অমিতাভ
ভুবনবাবুর স্মার্ট ফোন প্রসঙ্গে খরাজ মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘এই ছবিটা একটা সংরক্ষণ করার মতো ছবি। আজ থেকে বহু বছর পর যখন দর্শকরা ছবিটা দেখবেন তখন আমাদের বিবর্তনের ইতিহাসটাকে নতুন করে উপলব্ধি করতে পারবেন । বাজার চলতি ছবি থেকে একদমই আলাদা এবং আর্কাইভ করার মত একটি ফিল্ম ।" পরিচালকজুটিও ছবিটি নিয়ে বেশ উৎসাহিত। শান্তনু বসু প্রথমে এই গল্পটি বইয়ের আকারে প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীতে সেটা নিয়ে সিনেমা করার কথা ভাবেন।
আরও পড়ুন : আগুনপাখির গল্প এ বার বড় পর্দায়, একঝাঁক তারকার সঙ্গে নিজের গল্পে অভিনয় করছেন নচিকেতাও
ছবির গল্পে ভুবন রায় একজন অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক। বয়স ৫৮। ধুতি পাঞ্জাবি পরে অফিসে যান। কাজের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস । মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি আধুনিক টেকনোলজি নিয়ে ভুবন বাবুর একটু ছুঁতমার্গ রয়েছে। তিনি টাইপ রাইটারে টাইপ করেন। রেডিও শোনেন। সেকেলে মানুষ ভুবন বাবুর অফিসে রিজিওনাল ম্যানেজার পদে বদলি হয়ে আসেন রাতুল সরকার। তাঁর চোখ রাঙানিতে একটা স্মার্টফোন কিনতে একরকম বাধ্য হন ভুবন বাবু । তারপর এই ফোনকে কেন্দ্র করে তাঁর জীবনে দেখা দেয় নানা জটিলতা । এক দিন রাতে ঘুমানোর ঘরে চোর ঢোকে৷ তার সঙ্গে ভুবনবাবুর আলাপচারিতায় বোঝা যায়, দুজনেই কর্মক্ষেত্রে স্মার্টফোনের জ্বালাতনে জর্জরিত । এই নিয়ে এগিয়ে চলে এই ব্ল্যাক কমেডি। তারপর ক্লাইম্যাক্সে রয়েছে এক বড় চমক। যা দেখার জন্যে দর্শকদের হলমুখী হতেই হবে। ছবিটি মুক্তি পাবে ২ সেপ্টেম্বর।