পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন দেবারতি মিত্র৷ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নক্ষত্র ছিলেন দেবারতি মিত্র৷ ছোটবেলা থেকে কবিতা লেখা শুরু করেন তিনি৷ ১৯৪৬ সালে কলকাতায় জন্ম হয় দেবারতি মিত্রর৷ জনপ্রিয় কবি মণীন্দ্র গুপ্তের স্ত্রী ছিলেন তিনি৷ স্বামীর মৃত্যুর পর তিনিও এবার ছেড়ে চলে গেলেন অমৃতলোকে৷
advertisement
যোগমায়া কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা-সাহিত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন৷ কলেজে পড়ার সময় থেকেই কবিতার সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল৷ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়৷ তাঁর লেখাতেই ফুটে উঠেছিল নারীমনের অতল গভীর রহস্য৷ নারীর মনের গোপন কথা তাঁর কলমে প্রকাশ পেত৷ অবশেষে থামল তাঁর কলমের ধার৷ ১৯৭৪ সালে দেবারতি মিত্রর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অন্ধস্কুলে ঘন্টা বাজে’ প্রকাশিত হয়৷ মোট আটটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম হল-‘যুবকের স্নান’, ‘আমার পুতুল’, ‘তুন্নুর কম্পিউটার’, ‘ভূতেরা ও খুকি’ এভং ‘থঙহোয়া ফুল সাদা’৷ নিভৃত সাধনাতেই বাংলা সাহিত্যে নিজস্ব একটি জগত তৈরি করেছেন দেবারতি মিত্র৷
দেবারতি মিত্র তার লেখনীতে নিজস্ব রূপকের ব্যবহার করতেন যা পাঠকমহলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ কবির ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সম্মানও৷ যার মধ্যে ‘কৃত্তিবাস পুরস্কার’, ‘আনন্দ পুরস্কার’ ও ‘রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার’রয়েছে৷ ২০১৮ সালে স্বামী মণীন্দ্র গুপ্তের প্রয়াণের পর নিঃসঙ্গ জীবন কাটছিল কবির৷ স্বামীর একাকীত্বতা একাধিকবার তাঁর কলমেও উঠে এসেছিল৷ এবার সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন কবি দেবারতি মিত্র৷