বেলাশেষে ছবিতে স্বাতীলেখা ও সৌমিত্রর গল্প যেন আর পাঁচটা বাঙালির পরিবারের প্রবীণ দম্পতিদের মতোই। তাই এই গল্প আরও ছুঁয়েছিল বাঙালি দর্শককে। এরপরেই শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা বেলাশুরু ছবির প্রস্তাব নিয়ে যান স্বাতীলেখার কাছে যান। তখন বয়স আরও কিছুটা বেড়েছে। প্রথমে রাজি না হলেও শারীরিক বেশ কিছু অসুস্থতা নিয়েই ছবিটিতে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। ছবির কাজ শেষ হলেও স্বচক্ষে আর দেখা হয়নি তাঁর। ২০২১ এর ১৬ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী।
advertisement
কিন্তু আজ অভিনেত্রীর মুখেই শোনা গেল এই ছবিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা। স্বাতীলেখা বলছেন, "বেলাশেষের পরে আমি ভাবিইনি আর কোনও ছবি করতে পারব। বয়স বেড়েছে। নানা রকম শারীরির জটিলতা বেড়েছে। এরই মধ্যে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা এসে আমায় বলল যে আমরা আবার ভাবছি। তুমি কি পারবে?" অবশেষে বেলাশেষের পাঁচ বছর পরে হলেও ফেরাতে পারেননি এই পরিচালক জুটিকে। সিদ্ধান্ত নেন, ছবিটা করবেন। প্রায় ১০০ বার স্ক্রিপ্ট পড়েছিলেন।
এই ভিডিওতেই উঠে আসে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছিলেন স্বাতীলেখা। তাঁর কথায়, "সৌমিত্রদাকে আমার সবসময় খুব কাছের মানুষ, একজন আত্মীয়র মতোই মনে হয়েছে। ওনার সঙ্গেই তো সবচেয়ে বেশি কাজ। কখনও মনে হয়নি উনি বড় অভিনেতা, ওনার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারব না।"
আরও পড়ুন- 'বেলাশেষে' দেখাতে পারেননি মাকে, 'বেলাশুরু'-র সময়ে বাবাও নেই! আক্ষেপ অনিন্দ্যর
স্বাতীলেখার কথায় উঠে আসে টাপাটিনি গানের শ্যুটিং দৃশ্যের কথাও। অভিনেত্রীর কথায়, "একটি বোন ফায়ারের দৃশ্য ছিল। গান ছিল। সেই গানে নাচের দৃশ্যটি খুব সুন্দর করে করা হয়েছিল।" ছবি মুক্তির একদিনের মধ্যে সিনেমা হলে ভিড় করছে দর্শক। ছবিতে আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছেন বাঙালির দুই কিংবদন্তি তারকা। আর তাই এই ছবি যে দর্শকদের আবেগপ্রবণ করবে তা আন্দাজ করাই যায়। আর তার উপরে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের এই ভিডিও যেন আরও আবেগে ভাসাচ্ছে অনুরাগীদের।