২০১০ সালে 'মনের মানুষ' ছবিতে দুই শিল্পী একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। তখন থেকেই আলাপ পরিচয়। ফের ১২ বছর পর একজোট হলেন প্রসেনজিৎ-চঞ্চল।
আরও পড়ুন: সেলুলয়েডে আন্ডারওয়ার্ল্ড, কলকাতা শহরের অন্ধকার জগতের গল্প বলতে আসছে 'Calcutta 99'
আর সেই ছবিই পোস্ট করেছেন বিজরী। একটি নয়, একাধিক। তাঁদের আড্ডার কয়েক ঝলক ভেসে উঠেছে সেখানে। বিজরী ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'একজন শিল্পীর বিনয় তাকে মানুষ হিসেবে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। সেটি প্রমাণ করেছেন কলকাতার প্রথিতযশা জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (বুম্বাদা)। তার সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ও বিনয়ে আমরা মুগ্ধ হলাম। তিনি রাতের খাবারের আয়োজন করেছিলেন তার বাড়িতে আমাদের জন্য মানে বাংলাদেশের কিছু শিল্পীদের জন্য। চমৎকার সময় আমরা কাটিয়েছি তার বাড়িতে। ভীষণ পরিপাটি এবং শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ এ বাড়িটির রয়েছে ঐতিহাসিক মর্যাদা। দারুণ একটি সময় কাটালাম আমরা। চঞ্চল চৌধুরী, তোমাকে ধন্যবাদ এই উদ্যোগটি নেওয়ার জন্য।'
advertisement
আরও পড়ুন: ধোনির মন ভাল করতে মিষ্টি, ক্রিকেট নিয়ে কপিল-কথা, আড্ডার স্মৃতিচারণ অম্বরীশের
ছবিগুলিতে দেখা গেল, প্রসেনজিত সকলকে নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন। কোথাও মস্ত ডাইনিং হলে বসে খাওয়া দাওয়া করছেন এক ঝাঁক শিল্পী। এ দিকে তাঁর নাকি ঠান্ডা লেগেছিল। কিন্তু অতিথি সেবায় তাও কোনও ত্রুটি রাখেননি টলি নায়ক।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, সকলের প্রিয় বুম্বাদা নাকি বড় আদর করে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সূত্রের দাবি, প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, 'বাবু, তোমাদের সবাইকে আসতে হবে। অবশ্যই তোমরা বাংলাদেশের সবাই আসবে। তোমাদের অপেক্ষায় থাকব।' চঞ্চলকে নাকি আদর করে 'বাবু' ডাকেন বুম্বাদা। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া 'কারাগার' ওয়েব সিরিজে চঞ্চলের অভিনয় নিয়ে প্রশংসায় কলকাতার তাবড় তাবড় শিল্পীরা।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে চঞ্চল বলেন, 'গেলাম, খেলাম, দাদা নিজে দায়িত্ব নিয়ে খাওয়ালেন এই তো। আসলে দাদার সঙ্গে পরিচয় সেই 'মনের মানুষ' সিনেমার ওই সময় থেকে। সেই সম্পর্কটা এখনো অনেক গভীর। দাদা যখন আমাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানালেন, তখনই মনে হচ্ছিল এবার একটা আড্ডা জমবে। পর্দায় দেখা আর শ্যুটিংয়ে দেখা মানুষটা এতটা বিনয়ী, এতটা অতিথিপরায়ণ হবে ভাবাই যায় না। তিনি নিজে বসে থেকে খাবার পরিবেশন করালেন। কার কী লাগবে খেয়ালও রাখছিলেন। আর বাংলাদেশের কাজ তিনি নিয়মিত দেখেন। চরকি (বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম) তাঁর সাবস্ক্রাইব করা। 'হাওয়া' সিনেমা নিয়ে কথা বললেন। দুই বাংলাতেই কাজ নিয়ে কীভাবে দর্শকদের সামনে আসা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা বললেন। পরে পুরো বাড়ি ঘুরে দেখালেন। কতটা ঐতিহ্যের মধ্যে তিনি বসবাস করেন ভাবা যায় না। আমাদের বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। পরে তিনি দুটো গাড়ি দিয়ে আমাদের পৌঁছে দিলেন।'