রঞ্জিত মল্লিক মিঠু মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ মুক্তি পেয়েছিল বহু বছর আগে৷ ফের একবার টাটকা হবে সেই স্মৃতি৷ আবার ফিরছে স্বয়ংসিদ্ধা৷ তবে এবার বড় পর্দায় নয়, ছোটপর্দায় মুক্তি পাবে মণিলাল বন্দোপাধ্যায়ের লেখা এই গল্প৷ গল্পে গোবিন্দের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিশ্বাবসু৷ এই চরিত্রেই ছবিতে আগে অভিনয় করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক৷ বর্ষীয়ান অভিনেতা যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেই চরিত্রে অভিনয় করে কেমন অভিজ্ঞতা নায়কের?
advertisement
বিশ্বাবসুর কথায়, ‘‘আমি তো খুবই আনন্দে আছি যে প্রত্যেক বছর একজন করে কিংবদন্তী অভিনেতার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে যাচ্ছে৷’’ প্রসঙ্গত, এর আগে কিরীটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিশ্বাবসু৷ যে চরিত্রে অতীতে উত্তমকুমারকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে৷
নায়কের কথায়, ‘‘আকাশ আটের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। এর আগে উত্তমকুমারের জুতোয় পা গলানোর সময়ে বেশ ভয়ে ছিলাম। তবে আমি অবাক হয়েছি যে একবারও ট্রোলের মুখে পড়িনি। আর সেখান থেকেই এবার রঞ্জিম মল্লিকের অভিনীত চরিত্রে অভিনয় নিয়ে একটু কম চিন্তিত আমি। চেষ্টা করছি, কোনও ভাবে অনুকরণ না করতে, তবেই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আর আমার একটি ইচ্ছা রয়েছে। যদি একবার রঞ্জিত স্যার আমার এই অভিনয়টা দেখেন, তাহলে বড্ড খুশি হব। আশা করি, আমাকে আশীর্বাদই করবেন।’’
এই সিরিয়ালে চন্ডীর চরিত্রে দেখা যাবে অশ্নি দাসকে৷ তাঁকে ঘিরেই এগোয় মূল কাহিনি৷ ছোটবেলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় নিজের গ্রাম ছেড়ে ছোট্ট চন্ডী দাদুর সঙ্গে চলে যেতে বাধ্য হয়। চন্ডীর দাদু একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। দাদুর শিক্ষায় বড় হয়ে ওঠে চন্ডী। চন্ডী পড়াশোনা ও কুস্তি সমস্ত কিছুতেই পারদর্শী। ইংরেজদের বিরুদ্ধে দাদুর লড়াইয়ে চন্ডী ছিল একজন সৈনিক।ইংরেজদের গুলিতে দাদু মারা গেলে চন্ডী গ্রামে ফিরে আসে।
গ্রামের মানুষেরা যে কোনও বিপদে চন্ডীকে পাশে পায়। মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে চন্ডীর লড়াই। মিশনারীরা বাংলা স্কুল বন্ধ করে মিশনারী স্কুল তৈরি করতে চাই তাদের বিরুদ্ধে চণ্ডী প্রতিবাদ করে। গ্রামে গ্রামে রটে যায় চন্ডীর এই সাহসিকতার কথা। জমিদার হরিনারয়নের কাছে এই সংবাদ এলে নিজের ছেলের সঙ্গে চণ্ডীর বিবাহ দিতে চান।
চন্ডী হরিনারয়নকে শর্ত দেয় গ্রামে মেয়েদের জন্য স্কুল করে দিলে তবেই চন্ডী তার ছেলেকে বিয়ে করবে। হরিনারয়ন রাজি হয়। বিয়ের দিন দেখা যায় হরিনারায়নের ছেলে শিশুসুলভ। বয়স বাড়লেও বুদ্ধির বিকাশ ঘটেনি। হরিনারায়নের ছেলে গোবিন্দর সারল্য চন্ডীকে মুগ্ধ করে।
বিয়ের পর চন্ডী শ্বশুরবাড়িতে এলে বুঝতে পারে গোবিন্দকে তার সৎ মা মাধুরি ও ভাই নিবারণ দিনের পর দিন আফিমের নেশা করিয়ে পাগল বানিয়ে রেখেছে সম্পত্তির জন্য। হরিনারায়ন তার প্রথম স্ত্রী অর্থাৎ গোবিন্দর মায়ের মৃত্যুর জন্য গোবিন্দকে দায়ী ভাবে সেই জন্য গোবিন্দর প্রতি কখনই যত্নশীল হয়নি। সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজের স্বামীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে কি চন্ডী?হয়ে উঠবে স্বয়ংসিদ্ধা।