চৈতা একটি ঐতিহ্যবাহী গান –
চৈতা সমগ্র বিহারে এবং বিশেষ করে ভোজপুর জেলায় চৈত্র মাসের একটি ঐতিহ্যবাহী গান। চৈত্র মাসে পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও বিহারে চৈতা গাওয়া হয়। চৈতি বা চৈতা হল চৈত্র মাসকে কেন্দ্র করে একটি লোকগান। এটি আনন্দ, ভালবাসা এবং প্রকৃতির গান। এর ভাষা ভোজপুরি। এটি আধা-ধ্রুপদী গানের ঘরানার অন্তর্ভুক্ত, মূলত ঠুমরি হিসেবে তা গাওয়া হয়ে থাকে। চৈত্র মাসে গাওয়া এই ধরনের গানের বিষয়বস্তু প্রেম ও প্রকৃতি।
advertisement
শিল্পী ও বিচারকদের সামনে চৈতা গান গেয়েছেন সম্রাট-
সম্রাট কুমার মূলত আরার বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম ভারত প্রসাদ। সম্রাট লোকাল ১৮ কে বলেছেন যে, তিনি ভোজপুরি সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত পুরনো লোকগানগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান। এই কারণেই তিনি জাতীয় পর্যায়ের সঙ্গীতানুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে চৈতার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী গান বেছে নিয়ে সারা দেশের শিল্পী ও বিচারকদের সামনে তা গেয়েছেন। সম্রাট জানান, যখন তিনি সেখানে চৈতা গাওয়ার পরিকল্পনা শেয়ার করেন, তখন অনেকেই বুঝতে পারেননি এটি কী, পরে সকলেই অবাক হয়েছেন।
যখন সম্রাট তাঁর সুরেলা কণ্ঠে ভগবান রামের সঙ্গে সম্পর্কিত চৈতা গেয়েছিলেন, তখন সেখানে উপবিষ্ট বিচারকরা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ শিল্পীরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর সুরেলা কণ্ঠের কারণে, সম্রাট এই জাতীয় স্তরের প্রোগ্রামে সেমিফাইনাল পর্যন্ত জায়গা করে নিতে সক্ষম হন, কিন্তু, তার পরে বিজয় রথ থামে এবং তাঁকে ফিরে আসতে হয়।
বয়স্ক মানুষই কেবল কদর দেন –
সম্রাট বলেছেন যে, ভোজপুরি গান অনেক ক্ষেত্রেই অশ্লীলতার জন্য পরিচিত। আমাদের সমাজের বয়স্করাই শুধু চৈতা ও নির্গুণির মতো গান গেয়ে থাকেন বা তা বোঝেন। কিন্তু তরুণরা এসব থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় তিনি একাই চেষ্টা করছেন আমাদের ঐতিহ্যবাহী গানটিকে আরও একবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এবং পুরোপুরি জীবন্ত করে তুলতে!