আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রহমান-সায়রার বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি বন্দনা। তিনি শুধু বলেছেন, “বিবাহবিচ্ছেদ এখন রূঢ় বাস্তব। সর্বত্রই এমন ঘটনা বাড়ছে। তবে যাই হোক না কেন বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানও স্বমহিমায় টিকে থাকবে।”
আরও পড়ুনঃ ফের ভাঙন টলিউডে! ১০ বছর প্রেম, ২ বছরের সংসার! তাসের ঘরের মতো বিয়ে ভাঙল অভিনেতার
advertisement
এরপর তিনি বলেন, “আমি ‘সমঝোতা’ শব্দটা ব্যবহার করব না। কিন্তু সহনশীলতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সম্পর্কে সহনশীলতা কমে গিয়েছে। বন্ধুদের প্রতি আমরা যে সহনশীলতা দেখাই, জীবনসঙ্গীর প্রতি তা দেখাই না। সহনশীলতাই দীর্ঘ দাম্পত্যের মূল চাবিকাঠি।”
‘সহনশীলতা’ না থাকার কারণেই কী রহমান-সায়রার দাম্পত্যে ভাঙন? নিজের বক্তব্যে কী সেটাই বোঝাতে চাইলেন সুরকারের আইনজীবী? এমনই ইঙ্গিত প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। বন্দনা অবশ্য দম্পতির বিচ্ছেদের যৌথ বিবৃতির প্রশংসা করেছেন। তাঁর কথায়, একে অপরের প্রতি “সৌজন্য ও মর্যাদা” দেখিয়েছেন তাঁরা।
বন্দনার কথায়, “অত্যন্ত সৌজন্য এবং মর্যাদার সঙ্গে ২৯ বছর তাঁরা দাম্পত্যজীবন কাটিয়েছেন। শুধু শেষটা রূপকথার মতো হল না বলে, তাঁরা নিজেদের আচরণ বদলাননি। সৌজন্য ও মর্যাদা ধরে রেখেছেন। কেউই বিচ্ছেদ করবেন বলে বিয়ে করেন না।”
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সুরকার এআর রহমান। তাঁদের তিন সন্তান। দুই মেয়ে খাতিজা ও রহিমা এবং এক ছেলে আমিন রহমান। মঙ্গলবার রাতে যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেন। তারপর থেকেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।
বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি ট্যুইটও করেন সুরকার। পোস্টের প্রতিটি শব্দে ছিল আবেগের ছোঁয়া। রহমান লিখেছেন, “ত্রিশ বছরের মাইলফলক ছোঁয়ার আশায় ছিলাম আমরা। কিন্তু মনে হচ্ছে সব কিছুরই একটা অদৃশ্য সমাপ্তি থাকে।”
আরও পড়ুনঃ দুধ দেখলেই বাচ্চার বমি পায়? ‘milk-biscuit syndrome’ নেই তো? বকাবকি না করে ডাক্তারের কাছে ছুটুন
এই বিচ্ছেদের মধ্যেও ইতিবাচকতা খোঁজার চেষ্টা করেছেন রহমান। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বন্ধুবান্ধবদের। তিনি লিখেছেন, “ভাঙা হৃদয়ের ভারে সৃষ্টিকর্তার সিংহাসনও টলে যায়। তবুও ভাঙনের অর্থ খোঁজার চেষ্টা করি আমরা। যদিও টুকরোগুলো হয়ত আর আগের মতো জোড়া লাগবে না। এমন সংবেদনশীল অধ্যায়ে বন্ধুরা আমাদের গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন। তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”