'আমার বারবার মনে হয়েছে ইরফান ঠিক সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। কঠিন লড়াইটা জিতে যাবে। কারণ ক্যান্সারের যুদ্ধে অনেককেই জিততে দেখেছি, আমি নিজেও পেরেছি ফিরে আসতে।চিকিৎসার সময় অনেক চড়াই উতরাই এসেছে, কখনও মনে হচ্ছে খুব উন্নতি করছে কখনো আবার অবস্থার অবনতি হয়েছে । বিশেষ করে সুতপদি এই পুরো লড়াইটায় খুব কষ্ট পেয়েছে। যন্ত্রণা ভোগ করেছে। সত্যি খুব দুঃখ হচ্ছে । ইরফান একটা ইউনিক স্পেস তৈরি করতে পেরেছিল। সেই জায়গা কেউ নিতে পারবে না বলিউডে। ওঁর মতো অভিনেতা নেই আর কেউ হবেও না। হলিউডের কেরিয়ার সবে দৌড়তে শুরু করেছিল। এই জায়গাটা হলিউডেও তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে কোনটা করবে আর কোনটা করবে না সে সিদ্ধান্ত নিজেই নিত। টাইমিংটা গোলমাল হয়ে গেল বস। বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেল। বিশ্বের দরবারে ভারতীয় অভিনেতাদের অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারত। ' এই বিপন্ন সময়ে অনেকেই ইরফানের পাশে নেই তাতে অবশ্য অনুরাগের দাবি ইরফানের পরিবারের জন্য ভালই হয়েছে।'লকডাউন এর সময় সময় এরকম ঘটনা ঘটায় ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই পাশে দাঁড়াতে পারল না ঠিকই ,তবে কোথাও আমি বলব এটা ব্লেসিং ইন ডিসগাইস। ওঁর পরিবারকে এই সময়টায় বিরক্ত না করাই ভালো। ইরফান কে যেটুকু চিনি বেশি ভীড় পছন্দ করত না, পাবলিকের সামনে আসতে চাইত না। নিজের চিকিৎসাও প্রাইভেটলি করেছে। কোনও মেসেজ না, টুইট না। এমনকি মিডিয়া বা জনগণকেও কিছু জানায়নি। আমার মনে হয় ওঁর আত্মা খুশি হবে যে শেষ সময়ে পরিবার পাশে ছিল, অযথা ভীড় ছিল না। '
advertisement
' ইরফান যে জায়গায় পৌঁছেছে যে জায়গায় হয়তো অনেক আগেই চলে আসতে পারতো। হৃদয়ের কথা শুনেছে বরাবর। অনেক বড় বড় প্রজেক্টকে অনায়াসে না বলে দিয়েছে।টেলিভিশনে অনেক আগে থেকেই কাজ করছিলাম কিন্তু আমার প্রথম দুটো সিনেমায় ওঁকে নিইনি বলে আমার উপর খুব রেগে গিয়েছিল। আমাকে বলেছিল গ্যাংস্টারে আমাকে নিস নি কেন, আমি তো করতে পারতাম। যখন লাইফ ইন আ মেট্রো অফার করলাম তখন আবার রেগে গিয়েছিল। বলেছিল তুই আবার আমার সঙ্গে তিনজনকে নিয়েছিস। আমি মনে করি মেট্রো লোকে মন্টির জন্যই মনে রেখেছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একমাস আগে আমার অফিসে এসে ছিল দেখা করতে ওর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটা আমার অফিসের উপর দিয়ে যায়। আড্ডা দিয়েছিল খুব। পরে সুতপাদির সঙ্গে কথা হয়েছে, দেখা হয়েছে। কিন্তু ওঁর সঙ্গে আর দেখা করা হয়নি। ইস কেন করলাম না।'
