বললেন, তিনি বক্স অফিসের জন্যই ছবি বানান। লক্ষ্য, দর্শকরা তাঁর ছবি দেখুন। অঞ্জনীয় ঘরানায় বললেন, কান-বার্লিন-হংকঙে পুরস্কার পাওয়ার উদ্দেশে, বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে তাঁর ছবি চালানোর জন্য পরিচালনা করেননি। সে ইচ্ছে তাঁর ছিল না, কোনওদিন সেটা করেনওনি। একই প্রসঙ্গে ফিরে এলেন ছবি থেকে গানের কথাতেও। স্পষ্ট জানালেন, তাঁর গান সাধারণ মানুষের শোনার জন্য। পুরস্কৃত হওয়ার জন্য নয়।
advertisement
আরও পড়ুন : বাংলা ছবি কবে পাবে পাঠানের মতো সাফল্য, ‘নেটওয়ার্ক’ সমস্যার কথা তুললেন অঞ্জন
কিন্তু বক্স অফিস চাইলেই পাওয়া যায় না। কেউ বক্স অফিস পায়, কেউ পায় না। পাঠান-ঝড়েও শঙ্কিত নন অঞ্জন। বলিউডের দাপট মেনে নিয়েই চলতে হবে। মনে করেন তিনি। তবু তাঁর আশা, সব কিছুর মধ্যেও দর্শক তাঁর ছবি দেখবেন। বাঙালি পরিচালক হিসেবে ওই টুকুই তাঁর চাহিদা দর্শকদের কাছ থেকে। কিন্তু তিনি জোর করতে পারেন না। কারণ কে কোন ছবি দেখবেন, কোন ছবি দেখবেন না, সেটা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার।
তাঁর কথায়, "পাঠান তো আর অনন্তকাল ধরে চলবে না।" নামী তারকাকে নিয়ে বড় ব্যানারের এই ছবি ব্যয়বহুল। তাই দ্রুত খরচও তুলে নেবে। তার পর চলে যাবে। সেই ঝড়েও তাঁর ডিটেকটিভ সুব্রত শর্মাকে দেখবেন গোয়েন্দা-গল্প-প্রেমী দর্শক, আশাবাদী অঞ্জন দত্ত।