খুব কয়েকজনকেই নিজের অভিভাবকের স্থান দেন অনীক ৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম তরুণ মজুমদার ৷ প্রয়াত পরিচালক অনীকের কাছে ছিলেন শেষ মোহিকানদের প্রতিভূ ৷ চলে যাওয়ার দু এক মাস আগেই প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন প্রবীণ তরুণ ৷ অনীক পরিচালিত সত্যজিৎ-শ্রদ্ধার্ঘ্য ‘অপরাজিত’ দেখতে ৷ তার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করেছেন অনীক ৷ ছবি দেখার পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তরুণ মজুমদার ৷ বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ছিলেন অনীকের হাত ৷ অনীকের লিখছেন, ‘‘আমি জানি না যে তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, স্নেহ এবং আশীর্বাদের আমি যোগ্য কি না ৷’’
advertisement
আরও পড়ুন : ‘আমি কোথায় দু’বার ভালবাসা কথাটা ব্যবহার করেছি? করেছেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ’
আরও পড়ুন : প্রিয় পরিচালকের মৃত্যু সংবাদে মনখারাপ বিদেশে, শোকগ্রস্ত ঋতুপর্ণা মনে মনে কলকাতাতেই
সুখস্মৃতির পাশাপাশি অনীক ভোলনেনি তিক্ততাও ৷ যে তিক্ততার মধ্যে জীবনের শেষ কয়েক বছর কাটাতে হয়েছিল জনপ্রিয় ঘরানার ছবি করে চার বার জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালককে ৷ যে অবহেলা ও অশ্রদ্ধার মধ্যে শেষ কয়েক বছর তরুণ মজুমদার কাটিয়েছিলেন, সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে অনীকের শোকবার্তায় ৷ নিছক শোকপ্রকাশন নয় ৷ অনীকের পোস্টে আছে প্রতিশ্রুতিও ৷ তিনি লিখেছেন ‘‘ আমার যথাসাধ্য দিয়ে, তাঁর সকল অনুরাগীর সঙ্গে মিলে চেষ্টা করব তাঁর ছবিগুলি সংরক্ষণ করতে এবং তাঁকে তাঁর প্রাপ্য যথাবিহিত শ্রদ্ধা জানাতে ৷’’