পারিবারিক গয়নার ব্যবসা থাকলেও শখে অভিনয়ে নেমেছিলেন নীলম। আর আটের দশকে বলিউডে পা রেখে একের পর এক হিট ছবি দিয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। গোবিন্দার সঙ্গে নীলমের জুটি আজও দর্শকদের স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে। গোবিন্দা ও চাঙ্কি পাণ্ডের সঙ্গে প্রচুর সুপারহিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন নীলম। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের ইচ্ছেতেই সরে দাঁড়ান সিলভার স্ক্রিন থেকে। এক সময় নীলম এবং গোবিন্দার সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যেত বি টাউনে। মাঝেমধ্যে দু-একটি ছবিতে দেখা দিলেও অভিনয় থেকে সরে গিয়ে তিনি গয়না ডিজাইনে মন দেন। আর সেখানেও সাফল্য আসে। আজ গোটা বিশ্ব জুড়ে নীলমের ডায়মন্ডের বিজনেস।
advertisement
আরও পড়ুন-ডলারের দাম বৃদ্ধি, রেলপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার খরচও তাই বাড়ছে
শহরে এসে নীলম নিউজ18 বাংলাকে জানান, ‘‘কলকাতা আমার নানা কারণে খুব প্রিয় শহর। প্রথমত খাবার জন্য, কারণ কলকাতায় এলে মাছের ঝোলের যে স্বাদ পাই তা আর কোথাও পাওয়া যায় না। আমি অনেক জায়গায় খেয়েছি, তবে এরকম মাছের ঝোল সত্যি আর কোথাও পাওয়া যায় না। এখানকার মাছের ঝোল, মিষ্টি দই এগুলো আমার বড্ড প্রিয়। তা ছাড়াও এই শহর এবং এখানকার ভাষা আমার খুব প্রিয়। সে কারণে একটি বাংলা ছবিতেও আমি অভিনয় করেছি। ছবিটির নাম ছিল ‘মন্দিরা’। সেসব অনেক স্মৃতি। বলতে গেলে এখন কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। আর এই শহরকে ভাল লাগার দ্বিতীয় কারণ, আমার হয়ে যে সমস্ত কারিগররা কাজ করেন, তার বেশিরভাগই বাংলা বা কলকাতার। আর আমি নির্দ্বিধায় বলছি যে কলকাতা আমার ডায়মন্ড জুয়েলারি বিজনেসের এক অন্যতম বড় মার্কেট। প্রচুর লেনদেন হয় আমার কলকাতার সঙ্গে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর আগে এসেছি তাই শহরটাকে সুন্দরভাবে সাজতে দেখে খুব ভাল লাগছে। তবে আপনাদেরও বলব পছন্দের গয়না দিয়ে উৎসবে নিজেরাও সেজে উঠুন। নিজে যেটা পড়তে ভালবাসেন, যে অলঙ্কার আপনাকে পড়লে ভাল দেখায় সেটাই পড়বেন কারও কথায় কান দেবেন না। আমার তো কলকাতার দুর্গাপুজো শুনলেই প্রচুর গয়না দিয়ে সাজতে ইচ্ছা করে। বিশেষ করে রঙিন পাথরের গয়না দিয়ে। কালারফুল স্টোন আমার ভীষণ পছন্দের। তা ছাড়া হীরের গয়না তো অবশ্যই আছে। যেমনটা আমি পড়ে আছি (নিজের গলার নেকলেসের হাত দিয়ে একগাল হাসি)।’’