কথা হচ্ছে, এক সময়ের দাপুটে অভিনেত্রী মালা সিনহাকে নিয়ে। ‘আপ কি নজরো নে সমঝা... প্যায়ার কে কাবিল মুঝে’ কিংবা ‘ধীরে ধীরে চল চাঁদ গগন মে’ গানে যাঁর মোহময়ী রূপের জাদুতে মাতোয়ারা হতেন আট থেকে আশি। এই সময় একাধিক ছবি উপহার দিয়েছিলেন ভক্তদের। আর ছবির জন্য তাঁর পারিশ্রমিকও ছিল প্রচুর। তবে বি-টাউনে কান পাতলেই কানাঘুষো শোনা যায় যে, দুই হাতে টাকা উপার্জন করলেও বাস্তবজীবনে অভিনেত্রী ভীষণই কৃপণ ছিলেন। আর বিষয়টা এতটাই গুরুতর ছিল যে, এক বার তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতরও। সেই সময় নিজের উপার্জিত টাকা বাঁচানোর জন্য সংবাদমাধ্যম এবং আদালতের সামনে তিনি এমন কিছু কথা বলেছিলেন, যা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন- দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, নেতাজির জন্মদিনে আলো আসায় খুশি হলদিয়ার দুই গ্রাম
ঘটনাটি সেই ১৯৭৮ সালের। সেই সময় সাফল্যের শিখরে রয়েছেন অভিনেত্রী। ওই বছর মালা সিনহার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। তাতে অভিনেত্রীর বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। আর ওই সময়ে ১২ লক্ষ টাকা কিন্তু বিশাল অঙ্কের মূল্য ছিল।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মামলাটি এতটাই গুরুতর ছিল যে, তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এতে অত্যন্ত আতঙ্কিত এবং বিরক্ত হন অভিনেত্রী। তাঁর মনে হতে থাকে যে, এতে তাঁর উপার্জিত অর্থ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এর পর আইনজীবী এবং বাবা অ্যালবার্ট সিনহার নির্দেশে আদালতে এমন বয়ান দেন যে, তাতে চমকে গিয়েছিল সকলেই! কিন্তু কী এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন মালা সিনহা?
আরও পড়ুন- ভিসা ছাড়াই যে ৫৯টি দেশে যেতে পারবেন ভারতীয় পাসপোর্ট হোল্ডাররা, জেনে নিন
অভিনেত্রী আদালতের কাছে জানিয়েছিলেন যে, তিনি ওই পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে! তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে নিন্দার ঝড় ওঠে। লোকজন তাঁর নামে নিন্দা করতে শুরু করে। আর এই কারণে ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয় মালা সিনহার। পরে অবশ্য এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছিলেন খোদ অভিনেত্রীও।