Haldia News: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, নেতাজির জন্মদিনে আলো আসায় খুশি হলদিয়ার দুই গ্রাম

Last Updated:

আগামী সপ্তাহে গ্রাম পরিদর্শনে যাবেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী ৷ 

Representative Image
Representative Image
আবীর ঘোষাল, হলদিয়া: ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চালু। হলদিয়ার দুই গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছিল নতুন বছরের শুরুতেই। এবার গ্রামের ছ’টি পরিবার বাদ দিয়ে সব বাড়িতেই জ্বলল আলো ৷ সারা রাত আলো জ্বালিয়ে রেখে উৎসব পালন করলেন গ্রামবাসীরা ৷
পূর্ব মেদিনীপুরে বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে হলদিয়া যাওয়ার পরেই কুণাল ঘোষের কাছে বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ সেই মতো তিনিও বিদ্যুৎ দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিদ্যুৎ আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। মাঝে কিছু জটিলতা থাকলেও অবশেষে গ্রামে বিদ্যুৎ এল নেতাজির জন্মদিনেই ৷ এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘ সোমবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক ও সৌতনচক গ্রামে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুতের আলো জ্বলল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এল বিদ্যুৎ। গ্রামে ঘুরলাম। উৎসবের পরিবেশ। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শিলিগুড়ি থেকে ফোনে ভাষণ দিলেন। পরের মাসে আসবেন। বহু বাড়িতে গেলাম। হইহই কাণ্ড। গত পুরভোটে বিজেপির প্রার্থী জয়ন্তী মল্লিকের বাড়িতেও গেলাম। সেই দিদিও উচ্ছ্বসিত।’’
advertisement
advertisement
স্বাধীনতার পরে কেটে গিয়েছে ৭৫টি বছর। এতদিন গ্রামে ছিল না বিদ্যুতের কোনও সংযোগ। রাতের অন্ধকারে আলোর একমাত্র অবলম্বন ছিল কেরোসিনের ল্যাম্প এবং হারিকেন। কিন্তু অবশেষে সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে। হলদিয়া ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সাওতানচক গ্রামে তাই খুশির হাওয়া।
advertisement
নতুন বছর শুরুতেই বাড়িতে এল বিদ্যুতের সংযোগ। দুটি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস। এত দিন বেশ কিছু বাড়িতে সোলারের মাধ্যমে আলো জ্বলে উঠলেও, বেশিরভাগ বাড়ি রাতের অন্ধকারে ডুবে যেত।হলদিয়া পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড হলেও এ যেন কোনও গ্রামেরই চিত্র। সন্ধ্যা ঘনালেই আঁধার নামত। অবশেষে রাতের অন্ধকার ঘুঁচল বৈদ্যুতিক আলোতে।
advertisement
২০২৩ সালের শুরুর দিন থেকেই বিষ্ণুরামচক ও সাঁওতালক গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ। আর গত রাতে জ্বলে উঠল বিদ্যুতের আলো। আর তাতেই খুশির হাওয়া এলাকায়। ২০২৩ সালের আগে পর্যন্ত যাঁদের সামান্য মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী বাজারে যেতে হত। এমনকী, টাকার বিনিময়ে দোকানে মোবাইলের চার্জ করতে হত। এবার আর তেমন হবে না।
advertisement
বাড়িতেই মোবাইল চার্জ করাতে পারবে যখন তখন। বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় শুধু মোবাইল চার্জার নেই বেশিরভাগ বাড়িতেই। নেই বিনোদনের মাধ্যম অর্থাৎ টিভি। গৃহবধূরা জানান, সংসারের কাজকর্ম করতে রাতের অন্ধকারে অসুবিধা হত। দিনের আলো থাকতে থাকতে সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে হত। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এতদিন অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বেশিরভাগ ঘরেই রাতের বেলায় পড়াশোনার একমাত্র মাধ্যম ছিল মোমবাতি কিংবা হারিকেন। এবার ঘরে ঘরে আলো জ্বলল।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Haldia News: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, নেতাজির জন্মদিনে আলো আসায় খুশি হলদিয়ার দুই গ্রাম
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement