সেই মেয়েটি জিজ্ঞাসা করেছিল স্টেটসম্যান খবরের কাগজের পাতায় এক নজর রেখে দাদাকে- সিনেমা যাচ্ছ? তার পর মুখ গোমড়া করে বলে- আর মাস দুয়েক পরে গেলে হত না! বউদি তখন চুপি চুপি জানায় যে তার জন্য একটা চাকরি খোঁজা হচ্ছে। মেয়েটি লাফিয়ে ওঠে। তার মনে হয়- বউদির একমাত্র ঠিকঠাক কাজ ফিল্মস্টার হওয়া। চোখে কালো চশমা, ঠোঁটে লিপস্টিক…. ফিল্মদুনিয়ার গ্ল্যামারে হারিয়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য তার মন। এও বলে সে, বউদি হিন্দি ছবিতে কাজ করলে তারা প্লেনে করে মুম্বই যাবে!
advertisement
আরও পড়ুন: গৃহবধূ হয়ে থাকতে চান দীপিকা! ছেড়ে দেবেন অভিনয়, ঘোষণা করে চমকে দিলেন নায়িকা, ভক্তদের মাথায় হাত!
ওই মেয়েটির নাম জয়া ভাদুড়ি। বচ্চন সে হয়েছে ১৯৭৩ সালে। পনেরো বছর বয়সেই সে নেমেছে ছবি করতে। প্রথম দৃশ্যেই তার মুখে কেবল ছবির কথা। কী বলা যায় একে- সমাপতন? হয়তো তা-ই! কেন না, বউদির জন্য সে যা যা চেয়েছে, সেই সবই একে একে সত্যি হয়ে উঠেছে তার জীবনে। বাস্তবে এক সময়ে দেশের প্রথম সারির ফিল্ম-পরিবারের সঙ্গেও জুড়ে গিয়েছে তার জীবন।
আরও পড়ুন: নগ্ন মহিলার নাচ দেখছেন রাহুল! স্ট্রিপ ক্লাবের ভিডিও ভাইরাল? গর্জন স্ত্রী আথিয়ার
যদিও অনেকেই জানেন না যে জয়া ভাদুড়ির রুপোলি পর্দার পথচলা শুরু হয়েছিল শর্মিলা ঠাকুরের সৌজন্যে, ভূমিকা ছিল রবি ঘোষেরও। মহানগর ছবির এবং সেই সূত্রে তাঁর অভিনয় জীবনের ৬০ বছর পূর্তিতে মহানগরে এসে অতীতের স্মৃতিপট সরালেন নায়িকা। দেখা গেল বাবা তরুণ ভাদুড়ির সঙ্গে সেই তরুণীর পুরীতে যাওয়ার স্মৃতি। ১৯৬২ সালের ঘটনা। তপন সিংহের ‘নির্জন সৈকতে’ ছবির শ্যুটিংয়ের কাজে তখন সৈকতশহরে ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর আর রবি ঘোষও। আলাপের পরে কলকাতায় ফিরে তাঁরাই জানিয়েছিলেন রায়কে জয়ার কথা। ঘোষ বলেছিলেন তাঁর মানিকদাকে- মহানগরের তরুণীটির চরিত্রাভিনেতা আর খুঁজতে হবে না।
সেই শুরু। এর পরে বার বার আমাদের নিজের স্বতস্ফূর্ত অভিনয়ে মুগ্ধ করেছেন জয়া। সাধে কী আর বলেছিলেন শাবানা আজমি- ও যদি অভিনয় করতে পারে, তাহলে যে কেউ পারবে! কথাটা আসলে স্বগতোক্তি, যেন নিজেকে সাহস দেওয়ার জন্যই বলেছিলেন তিনি। এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, যখন আজমি জানান, জয়ার অভিনয় দেখার পরেই তিনি ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন!