সেই ঠিকানা অবলম্বন করেই আরও কিছু যুবক এগিয়ে এসেছেন। যাঁরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণের জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের কোনও শিক্ষক নেই। তাঁরা নিজেরাই শিক্ষক। আবার নিজেরাই ছাত্র। নিজেদের উদ্যোগেই তাঁরা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন স্বপ্ন পূরণের অভিযান। পাশ দিয়ে বিকট শব্দে পেরিয়ে যাচ্ছে ট্রেন। তাতেও তাঁদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না।
আশপাশে একাধিক মানুষের কর্মব্যস্ততা। কিন্তু তাঁরা মনোযোগ দিয়ে চালিয়ে যান পড়াশোনা। কারও লক্ষ্য আইপিএস হওয়ার, কারও লক্ষ্য আইএএস। নামী দামি কোচিং-এর বদলে তাঁরা নিজেরাই পড়াশোনা চালিয়ে যান। নিজেরা নিজেদের কোচিং করেন। একদিন কোনও ছাত্র হয়ে ওঠেন শিক্ষক। তৈরি করেন প্রশ্নপত্র। নেওয়া হয় মক টেস্ট। আবার পরদিন তিনিই হয়ে যান ছাত্র। অন্য কোনও ছাত্র উঠে আসেন শিক্ষকের ভূমিকায়। আর এভাবেই নিজেদের লক্ষ্য পূরণের যাত্রা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একদল যুবক। তাঁদের স্বপ্ন পূরণের ঠিকানা ধূপডাঙার এই টালির চাল।
advertisement
২০০৯ সাল থেকে স্থানীয় কয়েকজন চাকরি পরীক্ষার্থীর উদ্যোগে এই কোচিং সেন্টার চালু হয়। যেখানে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পড়ুয়ারা চোখে বড় স্বপ্ন নিয়ে আসেন। দিনরাত পরিশ্রম করে চালিয়ে যান প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই এই কোচিং সেন্টার থেকে ১৮০ জনের বেশি উচ্চপদে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে এখানে প্রায় দু’শো জন পড়ুয়া রয়েছেন। যাঁরা রেল, সেলস, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন পদে চাকরির পরীক্ষার জন্য জোরদার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে চলছে স্বপ্ন পূরণের অভিযান।
নয়ন ঘোষ