যদিও মনোজ শর্মা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন, তবে অবশেষে ইউপিএসসি ক্লিয়ার করে একজন আইপিএস হন। অন্য দিকে, তাঁর স্ত্রী শ্রদ্ধা নিজের শিক্ষাজীবন জুড়ে অ্যাকাডেমিক ভাবে একজন উজ্জ্বল শিক্ষার্থী ছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণীতেও তিনি অত্যন্ত মেধার সঙ্গেই উত্তীর্ণ হন। রাজ্যের বোর্ড পরীক্ষায় শ্রদ্ধা ১৩তম স্থান অধিকার করেন। এরপর হাইস্কুল শেষ করে হরিদ্বারের গুরুকুলা কাংরিতে আয়ুর্বেদিক মেডিসিন এবং সার্জারিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করতে যান। শ্রদ্ধার বাবা-মা, উভয়েই শিক্ষক, তাঁরা শুরু থেকেই চাইতেন মেয়ে ডাক্তার হোক।
advertisement
শ্রদ্ধা এবং মনোজের প্রথম দেখা হয়েছিল দিল্লির মুখার্জি নগরের একটি ইউপিএসসি কোচিং সেন্টারে, যেখানে হিন্দি সাহিত্যের প্রতি শ্রদ্ধার আগ্রহের কারণে এক শিক্ষক তাঁদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম সাক্ষাতেই সমান ভাবে মুগ্ধ হয়েছিলেন দু’জনেই। ইউপিএসসির প্রস্তুতির দিনগুলিতেই, দুজনের প্রেমের শুরু। ক্রমাগত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে শর্মার ভারতীয় পুলিশ পরিষেবার জন্য নির্বাচিত হওয়া ও শ্রদ্ধার আইআরএস-এ জয়েন করা সবই সম্পন্ন হয়।
২০০৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, শ্রদ্ধা জোশী উত্তরাখণ্ডে ডেপুটি কালেক্টর নিযুক্ত হন। স্বামীকে পাশে পেয়ে তিনি ২০০৭ সালে ফের পরীক্ষা দেন এবং উত্তীর্ণ হন, অবশেষে তিনি ভারতীয় রাজস্ব পরিষেবাতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন : মাইগ্রেনের অসহ্য যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? রেহাই পাবেন এই খাবারগুলিতে
এক সাক্ষাৎকারে মনোজ ও শ্রদ্ধা মজা করে নিজেদের বিয়ের গল্প শুনিয়েছিলেন। শ্রদ্ধা জানান, কীভাবে তিনি এক শহুরে ও পাহাড়ি জীবন ছেড়ে চম্বলের মতো এক কুখ্যাত গ্রামে বউ হয়ে এসেছিলেন।
অন্য একটি মজার ঘটনা উল্লেখ করে জানান তাঁদের বিয়ের সময় আলুর সবজি কম পড়ে যাওয়ায় তাতে মাত্রাতিরিক্ত জল মেশাতে হয়েছিল। ১৫০০ জন অতিথির পরিবর্তে প্রায় ৪০০০ জন বিয়েতে উপস্থিত হওয়ায় এই সমস্যায় পড়তে হয় মনোজকে। আইআরএস শ্রদ্ধা জোশী বর্তমানে মহারাষ্ট্র পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর, ২০২২ সাল থেকে এই পদে রয়েছেন।