এদিন কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ার জনসভায় বক্তৃতা করাকালীন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহুয়ার উপর দেখেছেন কীভাবে অত্যাচার করেছে? ওঁকে লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ও জোরে জোরে কথা বলত বলে। ওর বাবা মা কিছু জানে না। তবুও ওর বাবা মায়ের বাড়িতে গেছে। মহুয়াকে জেতাবেন।’’ মমতার গর্জন, ‘‘খেলা হবে…খেলতে হবে!’’
আরও পড়ুন: তমলুকে কি জোর লড়াই দেবে CPIM? সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে যা ঘটল নন্দীগ্রামে, নিশানায় বিজেপি!
advertisement
ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এর বাড়ি ও অফিসে সিবিআই অভিযান হয়েছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ইডিও তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল। যদিও ইডির তলবে তিনি যাননি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির লাগাতার ব্যবহারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করতেই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর কেন্দ্রকেই তার প্রথম নির্বাচনী জনসভা হিসেবে বেছে নিলেন? এ নিয়েই জল্পনা চলছে।
সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তারপর ইন্ডিয়া জোট আরও অক্সিজেন পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠানো, আবার দিল্লিতে রবিবারের সভাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠানো। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে এক কাট্টা হয়ে নেমেছে একাধিক বিরোধী দল। আর সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারকে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নির্বাচনী জনসভা শুরু করলেন এই কৃষ্ণনগর দিয়েই। নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে তিনি যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহারকে অন্যতম ইস্যু করে সরব হলেন, তা প্রত্যাশিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।