এদিন কোচবিহারের জনসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘ইভিএমের চিপ কারা তৈরি করেছে? সেটা নিয়ে তো ইসি বলছে না কিছু। আমরা তো ব্যালটে ভোট চেয়েছিলাম। আমরা অনেকেই জবাাব চাইছি। কোনও জবাব দিতে পারছে না।’’
এর আগে গত বছর ৭ মার্চ নারীদিবসের সভাতেও এই বিষয় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলনেত্রীকে৷ তাঁর আশঙ্কা ছিল লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম-এ চিপ বসিয়ে কারচুপি করতে পারে বিজেপি৷ মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এব্যাপারে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘সেখানে নাকি সোনা আর টাকা আছে..,’ অভিষেকের কপ্টারে আয়কর হানা নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
এরপরে অগাস্ট মাসে নবান্ন সভাঘরে এক ভার্চুয়াল কর্মসূচিতে রাজ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা করছে। ইলেক্ট্রিক মেশিন (ইভিএম) হ্যাক করার নানারকম ব্যবস্থা করছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে। কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে আলোচনা হবে।’’
মমতার এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে অবশ্য বরাবরই সরব হয়েছে বিজেপি৷ তাদের দাবি, হেরে যাওয়ার ভয়ে আগে থেকেই অজুহাত তৈরি করে রাখতে চাইছেন তৃণমূলনেত্রী৷
আরও পড়ুন: অভিষেকের কপ্টারে আয়কর তল্লাশি! হলদিয়ায় যাওয়ার আগের দিনই রেইড..বিস্ফোরক পোস্ট তৃণমূলনেতার
দেশে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চালু হওয়ার পর বার বার উঠেছে কারচুপির অভিযোগ। বিশেষ করে ভোটের ফল প্রকাশের পর পরাজিত দলের তরফে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই সব বিবাদ মেটাতে ২০১৭ সালে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে EVM হ্যাক করে দেখাতে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল কমিশন।