তা সত্ত্বেও গুজরাতে আম আদমি পার্টির কৃতিত্বকে খাটো করে দেখছে না রাজনৈতিক মহল। কারণ মোদি-শাহের খাসতালুক গুজরাতের কঠিন লড়াইয়ে প্রথমবার মাঠে নেমেই ১৪ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে আপ। শুধু তাই নয়, অন্তত ৬টি আসনে এগিয়েও রয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: হিমাচলে কি বহাল থাকছে ৪০ বছরের 'রিওয়াজ'? শাসকবিরোধী ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস
advertisement
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গুজরাতে মাঠে নেমে আপ বরং বিজেপি-র কাজটাই সহজ করে দিয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। কারণ, ১৯৯৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর এবারই সর্বাধিক আসনে জয় পেতে চলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের আসন প্রাপ্তি ১৫০ ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। যা গুজরাতের ইতিহাসে নয়া রেকর্ড। শুধু তাই নয়, ভোট প্রাপ্তির নিরিখেও চমকে দিয়েছে পদ্ম শিবির। গুজরাতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট এবার বিজেপি-র দখলে।
আপ গুজরাতের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামায় বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা ছিলই। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, সেই আশঙ্কাই সত্য়ি হয়েছে। পরিসংখ্য়ান বলছে, ১৯৯০ সালের পর থেকে ২০০২ বাদ দিলে প্রতিটি বিধানসভা নির্বাচনেই কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার এবং আসন সংখ্য়া বেড়েছিল। কিন্তু এবারে সেই ছবি উল্টে গিয়েছে গুজরাতে এখনও সবথেকে শোচনীয় ফল করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার তিরিশ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। আসন সংখ্য়া নেমে এসেছে কুড়ির নীচে।
আরও পড়ুন: ভোটগণনায় এগিয়ে জাদেজা-পত্নী, উৎসব শুরু পদ্মশিবিরে
গুজরাতের শহরাঞ্চলে বিজেপি-র দাপট বরাবরই ভাল। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের ভোট ব্য়াঙ্কই গুজরাতে কংগ্রেসের শক্তি ছিল। সেই ভোটব্য়াঙ্কেও থাবা বসিয়েছে আম আদমি পার্টি। ফলে ভাগ হয়েছে বিরোধী ভোট। একই কথা বলা যায় সুরাতের ক্ষেত্রেও। সুরাতে পুর ভোটে ভাল ফল করার পরই সেখানে ঝাঁপিয়েছিল আপ।
ফল বেরোতে দেখা যাচ্ছে সুরাত, আহমেদাবাদের মতো শহরাঞ্চলেও বিজেপি-র সুবিধা করে দিয়ে কংগ্রেসকে আরও ধরাশায়ী করেছে আম আদমি পার্টি। যদিও হিমাচল প্রদেশে খাতা খুলতে ব্য়র্থ অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল।