এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন ‘‘রাজ্যে কারও চাকরি চলে যাক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা চান না। প্রয়োজনে তিনি অতিরিক্ত পদ তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি চেয়ে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই হলফনামায় জানানো হয়েছে, হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তবেই রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত পদের তালিকা মেনে সকলকে চাকরি দিতে প্রস্তুত স্কুল সার্ভিস কমিশন।’’
advertisement
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ হলফনামায় এসএসসি জানিয়েছে, যদি হাইকোর্ট না চায়, তবে ব্যতিক্রমী ভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বাতিল করতেও রাজি শিক্ষা দফতর।’’ প্রসঙ্গত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করে ‘সুপার নিউমেরারি’ পদ তৈরি করে চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। তার জন্য ৬৮৬১ টি পদ আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে তৈরি করেছে। তবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদেরও চাকরি সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সেই শূন্যপদের সংখ্যা আরও বাড়াল রাজ্য। তার জন্যই নতুন করে শূন্যপদ ফের তৈরি করা হল রাজ্যের তরফে।
রাজ্যের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বলছে ইতিমধ্যেই মোট ৫২৬১টি অতিরিক্ত পদ (সুপার নিউমেরারি) তৈরি হয়েছে। আরও ৯৭১৬টি অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই নবম-দশম স্তরের ক্ষেত্রে শূন্যপদ পদ তৈরি হয়ে রয়েছে ১৯৩২ টি। এই স্তরে আরও অতিরিক্ত পদ তৈরি করতে হবে ১০৭৭ টি। একইভাবে একাদশ - দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই পদ তৈরি হয়ে রয়েছে ২৪৭ টি। নতুন করে আরও পদ তৈরি করতে হবে ২৩২১টি। গ্রুপ সি এর ক্ষেত্রে পদ তৈরি হয়ে রয়েছে ১১০২ টি। আরও নতুন করে পদ তৈরি করতে হবে ১৯৮১ টি।
গ্রুপ ডি-এর ক্ষেত্রে পদ তৈরি হয়ে রয়েছে ১৯৮০ টি। সে ক্ষেত্রে নতুন করে পদ তৈরি করতে হবে আরো ৪৩৩৭ টি। অর্থাৎ বঞ্চিত এবং ওয়েটিং লিস্ট এই দুই চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদ তৈরি করতে হচ্ছে ১৪৯৭৭ টি বলেই এদিন জানান শিক্ষামন্ত্রী। এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চান না, কারোর কাজ চলে যাক। কারণ কারোর কাজ চলে গেলে শুধু তার ক্ষতি নয়, তার পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসে। আবার চান না কোনও যোগ্যপ্রার্থী বঞ্চিত হন। তাই প্রয়োজনে সুপার নিউ মেরারি পদ তৈরির ইচ্ছা পোষণ করেছেন।’’
শিক্ষামন্ত্রীর দাবি এবার হাইকোর্ট যে নির্দেশ দেবে তা মেনেই পরবর্তীকালে পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই শারিশিক্ষা কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। তাদের নিয়োগের জন্য নোটিস পুজোর আগেই দেওয়া হবে বলে এদিন ফের জানান শিক্ষামন্ত্রী।