বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও আর থাকছেন না শিবাজী প্রতিম বসু। তাঁর জায়গায় উপাচার্য হচ্ছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক পবিত্র কুমার চক্রবর্তী। ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য হলেন কাজল দে। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় তিনি আসছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: ৬ দিনে সাড়ে ৬ কোটি! দিল্লি গিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল? বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে
advertisement
প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’ বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণেরও নির্দেশ হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। শীর্ষ আদালতও সোনালির উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে।
আরও পড়ুন: 'ফুরফুরার জন্য ভাবেন মমতা, তাই তপনে আস্থা', দুই মন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়েই চনমনে ত্বহা
ইউজিসি-র নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোনালি চক্রবর্তীকে রাজ্য সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল। ২০২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনালিদেবীকে উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য। তবে তাতে সিলমোহর দেননি তৎকালীন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। আচার্যের অনুমতি ছাড়া কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ হল তা নিয়ে বিতর্ক হয়। জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল যে, সোনালি চক্রবর্তীকে রাজ্য সরকার একার সিদ্ধান্তে নিয়োগ করতে পারে না। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি রাজ্যের। হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল থাকে সেখানে। ফলে তাঁর জায়গায় নয়া উপাচার্য করা হয়েছিল আশিস চট্টোপাধ্যায়কে।