সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, ও এম আর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করে যোগ্য ও অযোগ্য পৃথকীকরণ করে তাঁদের স্কুলে ফেরাক রাজ্য সরকার। এই শান্তিপূর্ণ অবস্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। ১৫ তারিখের পর ১৬ তারিখ বিকাশভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকেরা বিভিন্ন রাজনীতিক ব্যক্তিত্বদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁরা বলেন যে কেউ তাদের আন্দোলনে আসতে পারে তবে রাজনৈতিক দলের পতাকা ছাড়া।
advertisement
সেই মতো মঞ্চে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সেই কথা ঘোষণা করেন চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। ওখানেই দ্বন্দ্ব আরও প্রকোট হয় চাকরিহারাদের মধ্যে। শুভেন্দু অধিকারী আগে বক্তব্য রাখবেন নাকি অন্যরা তা নিয়েও বচসা বাধে। প্রথম থেকেই চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসের বক্তব্য ছিল আমরা চাই বিরোধী দলনেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। তিনি রাজ্য সরকারকে চাপ দিলে আমরা আমাদের চাকরি ফিরে পাব। তবে সুমনের এই দাবি মানতে রাজি ছিলেন না যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকার অধিকার মঞ্চের সদস্যরা। তাই এবার আলাদা পথে আন্দোলন চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসদের।
৭ মে থেকে বিকাশভবনের সামনে বসে রয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির শিক্ষাকর্মীরাও। ১৫ তারিখ রাতে বিকাশ ভবনের সরকারি কর্মীদের বাড়ি ফিরতে বাধা দেওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় চাকরিহারাদর। সেখানেই সরকরি সম্পত্তি নষ্ট ও পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবা করতেই বিধাননগর উত্তর থানায় ডেকে পাঠান হয় বেশ কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষকদের। এর মাঝেই এবার আলাদা হলেন চাকরিহারারা।