মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে। অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করা হয় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয় দুই বোর্ডের তরফে।
advertisement
অতীতেও মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রের একশো মিটারের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ যদিও এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলার স্পর্শকাতর' পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই দিনের বৈঠকে সেই প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা করেন মুখ্য সচিব।
স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা সাড়ে ১১ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী দিতে চলেছে। সেই তুলনায় গতবারের তুলনায় কিছুটা কমেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছে আট লক্ষে সামান্য বেশি পরীক্ষার্থী। যদিও মাধ্যমিক পরীক্ষা হোম সেন্টারে না নেওয়া হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অবশ্য হোম সেন্টারেই নেওয়া হবে। তার জন্য প্রতিটি হোম সেন্টারে পুলিশ মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।
আরও পড়ুন: রাত জেগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? আগে বাড়ান আত্মবিশ্বাস! রইল ইউপিএসসি'র টিপস
স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর হোম সেন্টার হওয়ার জন্য মাধ্যমিকের তুলনায় উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক বেশি। এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে কীভাবে দুই বোর্ডের তরফে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে সেই বিষয় নিয়েও জেলাশাসক,পুলিশ সুপারদের বিস্তারিত জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
যদিও তার আগের বছরগুলিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক দুটো পরীক্ষা তেই পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর পর প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, টোকাটুকির অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছে দুই বোর্ডই। তবে এবার পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র যাতে বাইরে না বেরিয়ে যায় তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক দুই বোর্ড। তার জেরেই পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে চায় বোর্ডগুলি। যদিও এই বিষয় নিয়ে দুই বোর্ডের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।