পড়াশোনাতে ভাল ছিলেন ঝর্ণা দেবী। অষ্টম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক চাপে তাকে বিয়ে করে নিতে হয়। তারপর আর পড়াশোনা হয়নি। নাতিকে নিজের মতো করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই স্বপ্নই পূরণ হল ঝর্ণা দেবীর। তিনি জানান, “আমাদের সময় মেট্রিক পরীক্ষা হত। সেই পরীক্ষা দিতে পারিনি। আক্ষেপ ছিল, তবে নাতি আমার স্বপ্ন পূরণ করল। আজ আমার আনন্দ ধরে রাখার মত নয়।”
advertisement
আলাদা পরিশ্রম ছাড়াও মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল সম্ভব। যতটুকু পড়া রয়েছে সেটি ভাল করে মনে রাখলেই যথেষ্ট। এমনটাই জানাল মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করা দেবার্ঘ্য দাস। ফালাকাটা হাই স্কুলের ছাত্র সে। তার লক্ষ্য সে আই.আই.টি পড়বে। তার বাবা ওষুধ ব্যবসায়ী, মা স্বাস্থ্যকর্মী। দেবার্ঘ্য পড়াশোনার পাশাপাশি গান গাইতে ভালবাসে।
তবলা ও গিটার বাজাতে পারদর্শী সে। এদিন মাধ্যমিকের ফলাফল শোনার পর তার বাড়িতে খুশির হাওয়া বয়ে গিয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশীরা আসছে তাকে অভিনন্দন জানাতে। তার মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। দেবার্ঘ্য দাস জানায়, “বেশি পরিশ্রম করলে পরে পড়াশুনো গুলিয়ে যেতে পারে। তাই যতটুকু পড়া ততটুকু ভাল করে মনে রাখলেই হবে।”
Annanya Dey