শিবমের বাবা ফুটপাতের হকার, মা ছোটখাটো কাজ করেন, তাই জন্মের পর থেকেই শিবম দেখেছে চরম দারিদ্র। কিন্তু প্রবল আর্থিক অনটনের মধ্যেও অদম্য ইচ্ছা আর জেদ জয়ী করে দিল শিবম মণ্ডলকে। শিবম সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করত। পড়াশোনার পাশাপাশি শিবম গল্পের বই পড়তে এবং ফুটবল খেলতেও ভালবাসে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে নম্বর কমেছে বলে দাবি এই ছাত্রীর, কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
ডায়মণ্ড হারবার ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের ফলে শিবমের বাবা সুভাষ মণ্ডলের হকারি বন্ধ হয়ে যায় একসময়। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে তার পরিবার। সুভাষবাবু সেই সময় ছেলেকে নিয়মিত টিউশন এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দিতে পারেননি। সুভাষবাবু সেই সময় বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি সবজি বাগান করেন। শিবম পড়াশুনার পাশাপাশি সেই সময় নিয়মিত বাবাকে সাহায্য করত।
দারিদ্রতার বিরুদ্ধে হার না মানা চেষ্টা, বাবা-মায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিবম মণ্ডল মাধ্যমিকে এই রেজাল্ট করেছে। শিবমের ইচ্ছা বড় হয়ে সে ইঞ্জিনিয়ার হবে। মানুষের পাশে নিত্যনতুন প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করবে।
নবাব মল্লিক