মেধাতালিকায় নাম ঘোষণা হওয়ার পর আনন্দে কেঁদেই ফেলে স্পন্দন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সেরা দশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ৬৬ জন জায়গা পেয়েছে এই তালিকায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
advertisement
স্পন্দন জানায়, সারাদিন তার কোনও পড়াশোনা নির্ধারিত সময় ছিল না। যখনই সময় পেত তখনই পড়াশোনা করত স্পন্দন। আগামী দিনে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে স্পন্দন মৌলিকের। পড়াশোনার প্রিয় বিষয় মধ্যে ছিল গণিত এবং পদার্থবিদ্যা। ছোট থেকে গান শুনতে এবং বিভিন্ন অ্যাকশন ফিল্ম দেখতে ভালবাসে সে। তার প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং।
স্পন্দনের বাবা দেব চরণ মৌলিক। তিনি চৈতি ভাদিস্থা হাই স্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন, ছেলের এই ফলাফল বীরভূমের নাম উজ্জ্বল করল, তাই তাঁরা খুবই খুশি। মা পিঙ্কি মৌলিক গৃহবধূ ছেলের সাফল্য নিয়ে বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: ফলপ্রকাশ মাধ্যমিকের, পাশের হারে এবারেও সেরা পূর্ব মেদিনীপুর! দ্বিতীয়, তৃতীয় কারা?
ছেলের সাফল্যের পেছনে মায়ের অনেকটাই অবদান রয়েছে বলে জানান স্পন্দনের বাবা। স্পন্দনের বাবা বলেন তিনি স্কুল শিক্ষক হওয়ার কারণে ছেলেকে সেইভাবে পড়াতে সময় দিতে পারতেন না তবে মা সর্বদা তাকে সহযোগিতা করেছে।
স্পন্দন আরও বলেন সে ভেবেছিল ১ থেকে ৫ এর মধ্যে তার ফলাফল হবে। তবে অষ্টম স্থান পাওয়াতেও খুশি সে। আগামী দিনে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তাদের উদ্দেশ্যে সে বলেন যে বিশেষ করে টেক্সট বই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়া প্রয়োজন। তবে সব সময় বই নিয়ে বসে থাকলেও চলবে না। পড়াশোনার মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন,তাহলে পড়াশোনা বেশি মনে থাকে।
সৌভিক রায়