Check : পশ্চিমবঙ্গ এইচএস ক্লাস 12 তম ফলাফল 2023
Check : পশ্চিমবঙ্গ এইচএস ফলাফল 2023
আজ জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান আগামী ১০ দিনের মধ্যেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামীকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে। জানা গিয়েছে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাধ্যমিকের ফল কবে প্রকাশ হবে তা জানিয়ে দেবে পর্ষদ। সেক্ষেত্রে আগে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ ১৫, ১৬, ১৭ তারিখ প্রস্তাবিত করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে এই তারিখ গুলির মধ্যেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সম্ভবনা প্রবল।
advertisement
Check : পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ক্লাস 10 তম ফলাফল 2023 লাইভ আপডেট
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কি CBSE-এর রেজাল্ট প্রকাশ? জানুন সবার আগে ফলাফল দেখার উপায়
ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ শতাংশ উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে নম্বর জমা পড়েছে পর্ষদের কাছে। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। মূলত মূল্যায়নের পর নিয়ে যে সমস্ত উত্তরপত্র নিয়ে সংশয় রয়েছে, তারই শেষ পর্যায়ে মূল্যায়নের কাজ চলছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ফলপ্রকাশ করার লক্ষ্য ছিল পর্ষদের। ইতিমধ্যেই অনলাইনে উত্তরপত্র যাচাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে।
Check: পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 10 তম ফলাফল 2023
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র করে এ বার বিশেষভাবে সতর্ক মূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত ৪ মার্চ লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে এ বারের মাধ্যমিক। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ন্যূনতম তিনটি করে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিশেষত যেখান থেকে পরীক্ষার্থীরা ঢুকবেন, প্রধান শিক্ষকের ঘরে এবং যে ঘরে প্রশ্ন পত্র রাখা থাকবে এই তিনটি ঘরে সিসিটিভি বসানো হয়। বেশিরভাগ পরীক্ষা কেন্দ্রেই সেই নির্দেশ কার্যকর হয় বলেই পর্ষদের দাবি।
আরও পড়ুন: JEE Mains 2023 সেশন ২-এর ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে! কী ভাবে রেজাল্ট দেখবেন জানুন
অন্যদিকে, অ্যাপের মাধ্যমেও এবার বিশেষভাবে নজরদারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অর্থাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র কখন দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও বিশৃঙ্খলা হল কিনা বা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি থেকে কোনও অভিযোগ আসছে কিনা, তার যাবতীয় তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি জানানোর ব্যবস্থা ছিল পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে। নজরদারির জন্য প্রত্যেক জেলাতে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ছিলেন।
গত বছর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। এ বছর সেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮হাজার ৬২৮ জন। এ বছর মোট ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৭২ জন এবং ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ২১ জন। এ বছর মোট ২৮৬৭ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা বেরিয়ে যেতে পারলেও প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরোতে পারবেন না, এই মর্মে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে নির্দেশিকা দিয়েছিল পর্ষদ। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট স্থগিত রাখার কড়া নির্দেশ ছিল পর্ষদের। উপ-নির্বাচনের জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ১ মার্চ নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।