বাড়িতে মা, বাবা ছাড়াও রয়েছে ভাই এবং ঠাকুমা। বাড়িতে অভাব ছিল বটে, তবে বুঝতে দেননি বাবা মা। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী দেবিকা। দাঁতন হাই স্কুলে কলা বিভাগে পড়তেন তিনি। বিদ্যালয় এবং টিউশন ছাড়া বেশ কয়েক ঘন্টা নিজেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অবশেষে তার কঠোর জেদ এবং অধ্যবসায়ের সাফল্য মেলে গত বুধবার। জানা যায়, বসতভিটে ছাড়া অন্য কোনও সম্পত্তি নেই দেবিকার পরিবারে। সামান্য সাইকেল রিপেয়ারিংয়ের দোকান থেকে চলে সংসারের খরচ।
advertisement
আরও পড়ুন: মুদি দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করতে করতেই পড়া, উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম সন্দীপ
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির মহাসুযোগ, এই বিভাগে অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি
আগে যদিও দোকানে ব্যবসার ছিল ভাল, তবে বর্তমানে তাতে ভাঁটা পড়েছে। সারাদিনে সাইকেল সারিয়ে যেটুকু অর্থ রোজগার হয় তাতে চলে সংসার, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা। পরিবারের আর্থিক অনটন ছেলেমেয়েদের বুঝতে দেননি দেবিকার বাবা। বড় হয়ে শিক্ষকতা করতে চান দেবিকা। তবে তাঁর এই সাফল্যের মাঝে বাধা অর্থ। বাবা মা চান, পড়াশোনা করুক তাঁদের মেয়ে। প্রতিষ্ঠিত হোক সমাজে।
রঞ্জন চন্দ