আরও পড়ুন : বাঁকুড়া শহরের ফুসফুস পলাশতলায় একের পর এক গাছ নিধন, প্রতিবাদে পরিবেশপ্রেমীরা!
কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়ে দিয়েছিল পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রাবাস খুলে দিতে হবে। সেইমতো ছাত্রাবাস খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে বিশ্বভারতী (Viswa Bharati) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিযোগ, কোনও ছাত্রাবাস এখনও পর্যন্ত পায়নি পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় অবিলম্বে প্রাপ্ত ছাত্রাবাস ফিরিয়ে দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তির পরেই উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীতে।
advertisement
যদিও কোনও পড়ুয়াই ছাত্রাবাস পাইনি বলে দাবি করে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাহলে কী ভাবে ছাত্রাবাস ফিরিয়ে দেবে পড়ুয়ারা? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিলের কোন বিজ্ঞপ্তি (Viswa Bharati) জারি করেনি, এমনটাই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। যদি এমন নির্দেশিকা জারি করা হয় সে ক্ষেত্রে বিশ্বভারতী যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে।
বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সোমবার পাঠভবন এবং শিক্ষাসত্র বিভাগের শিক্ষক কাউন্সিলের অনুমোদন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বর্তমান অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা বন্ধ থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : সরকারি স্কুলে নীল-সাদা পোশাকে ‘বিশ্ব বাংলা’? সমগ্র শিক্ষা মিশনের নয়া নির্দেশিকায় জল্পনা
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Exam) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে (Viswa Bharati)। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হস্টেল খুলতে হবে, পরীক্ষা অনলাইনে করতে হবে এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিতে হবে। এই তিন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। এরই মাঝে সোমবার থেকে শুরু হয় বিশ্বভারতীর মাধ্যমিকের প্রাক্টিক্যাল ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা। প্রসঙ্গত, এবছর পাঠভবন ও শিক্ষাসত্র মিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি সোমবার তারা কোনও আন্দোলন করেননি, পরীক্ষার্থীদের উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে তারা। অর্থাৎ তারা চাইলে পরীক্ষা দিতে পারে এমনই জানিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। সেই মতো বেশকিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) ভাষা ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে পরীক্ষার্থীরা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ে।
অভিযোগ একপক্ষ পরীক্ষা দিতে চাইলেও অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর দাবি ছিল পরীক্ষার সময়সীমা পিছিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর ধস্তাধস্তি হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ বেশ কিছু অভিভাবক বেপরোয়া ভাব দেখানোতেই ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
