তবে যাঁরা পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসে ইতিমধ্যেই ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাঁরা ও তাঁদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এই ডিগ্রি স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাঁদের ছাড়পত্র নিতে হবে। ছাড়পত্র পেলে পড়াশোনা ও চাকরি দুই ক্ষেত্রেই আবেদন করা যাবে। এরই সঙ্গে ভারতীয় পড়ুয়া যাঁরা চিনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদেরও সতর্ক করা হয়েছে। পূর্বে অনুমতি ছাড়া সেই দেশে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডিগ্রিকে ভারতে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝোপের পাশে ওটা কী? উঁকি দিতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! তমলুকে তুলকালাম
এআইসিটিই চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুধ বলেছেন, 'ভারতে বিচার্য নয় এমন ডিগ্রি অনুসরণ করে অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করার কোনও মানে হয় না৷ চিন, ইউক্রেন-সহ অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে আমাদের অতীতে এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে৷ তাই এই নির্দেশিকা৷' ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার বলেছেন, 'ইউজিসি ও এআইসিটিই ভারতীয় ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই ধরনের সতর্কবার্তা জারি করেছে।'
আরও পড়ুন: ভাতের সঙ্গে বিষ, পরপর মৃত্যু! প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আমডাঙায়
এর আগে, ২০১৯ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল UGC। তবে ভারত থেকে পাকিস্তানে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে সবমিলিয়ে ২০০-র মতো পড়ুয়া, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা, পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এই মুহূর্তে কত জন পড়ুয়া সেখানে পাঠরত, তা যদিও জানা যায়নি।