ঈশিতা ও অঙ্কুর দুজনেই আমরারগড় গ্রামেরই বাসিন্দা। ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী বলে পরিচিত ঈশিতা । তার বাবা কৃষক ও মা অঙ্গনয়ওয়াড়ি কর্মী। দৈনিক ৮ থেকে ৯ ঘন্টা পড়াশোনা করত সে।
ঈশিতা জানায়, ‘প্রথমে তো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভাল ফল হবে আশা করেছিলাম তবে এতটা ভাল হবে ভাবতেও পারিনি । মা-বাবা, শিক্ষক শিক্ষিকাদের আশীর্বাদে এই স্থান পেয়েছি, বেশ ভালই লাগছে।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, দলে-দলে যোগ সিপিআইএম-এ! ‘সৌজন্যে’ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
অপর দিকে মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়া অঙ্কুরও ছোটো থেকে পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী।তার বাবা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার এবং মা পঞ্চায়েতের একটি অস্থায়ী পদে কর্মরত।
অঙ্কুর জানিয়েছে, খুবই ভালো লাগছে মা এর মুখ রাখতে পেরে। স্কুল থেকেও সবসময় সাহায্য করেছে , যখন যা প্রয়োজন হয়েছে সাহায্য করেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা । ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা আছে ।
আরও পড়ুন কাঁটায় কাঁটায় ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজির অভিষেক, লম্বা প্রশ্নপত্র নিয়ে তৈরি সিবিআই!
অন্যদিকে স্কুলের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি ও গর্বিত আমরারগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। নিজের স্কুলের এই সাফল্য প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিশির কুমার বলেন , ‘আমরা সকলেই খুব খুশি স্কুলের এই সাফল্যে। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সামগ্রিক চেষ্টা, অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই এই সাফল্য এসেছে। আমরা ছুটির দিনেও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের গাইড করেছি। তারাও কোনো সমস্যায় পড়লে ফোন করে তার সমাধান আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। এই যোগাযোগ সবসময় আমাদের মধ্যে ছিল তাই সাফল্য এসেছে।’
নবম স্থানাধিকারী ঈশিতা ভট্টাচার্য ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও সমান দক্ষ সে। অপরদিকে ৬৮৩ পেয়ে মেধা তালিকায় দশম স্থানাধিকারী অঙ্কুর চায় আগামীদিনে ইঞ্জিনিয়ারিংকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিতে।