এবছরের সর্ব ভারতীয় নিট পরীক্ষায় ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি নগরের কৃতী ছাত্র দীপজ্যোতি সরকার। রাজ্যে তার র্যাঙ্ক ৯১৪ ও দেশের বিচারে ৩৯৪১৩। ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী দীপজ্যোতি। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই সুযোগ পেয়ে যায় বারবিশার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। পেশায় রাজমিস্ত্রী তার বাবা কেরালায় কাজ করতেন।
advertisement
চিন যেভাবে পাকিস্তানকে শক্তিশালী করছে, আর উপায় নেই! নতুন চাল, কোন দেশের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত?
সেখান থেকেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। দীপজ্যোতি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ে, তখন টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসাতেই মারা যান তার বাবা। তারপরেই দ্বীপজ্যোতি লক্ষ্যস্থির করে বসে যে সমাজের গরীব মানুষদের জন্যে তাকে চিকিৎসক হতেই হবে। টানা এক বছরের জন্য ‘নিট’ পরীক্ষার কোচিং নেয় পুনেতে বিনে পয়সায়। অন্যদিকে তার মা সরস্বতী দাস সরকার, কোনো রকমে সংসার সামলে দীপজ্যোতির বোনকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি ঘরেই শুরু করেন সেলাইয়ের কাজ।
স্বামীর অকাল মৃত্যুই যেন তাঁকে এক অপার শক্তি এনে দিয়েছিল। ছেলের ডাক্তার হওয়ার অদম্য জেদের সঙ্গে নিজেকেও জুড়ে দিয়েছিলেন মনেপ্রাণে। অবশেষে সেই সুযোগ এল তাদের জীবনে। দীপজ্যোতি সরকার জানায়, “আমরা দরিদ্র। দশম শ্রেণীর পর যখন চিকিৎসক হওয়ার কথা সকলকে বলতাম তখন সকলে বলত অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়। আমি আমার স্বপ্নের সঙ্গে আপোষ করিনি। বাবাকে অকালে হারিয়েছি, আমার বাবার মত যাতে অন্য কারো পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে এই ঘটনা না ঘটে , সেই চেষ্টা করব চিকিৎসক হয়ে।”
Annanya Dey