আরও পড়ুন: '৫ লাখ টাকা দিলেই আগের রাতে প্রশ্ন,' টেট নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
টালিগঞ্জ থানা এলাকার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশকে দেখা গেল ‘অন্য’ এক ভূমিকাতেও। কখনও পুলিশকর্মী হয়ে উঠলেন ফোটোগ্রাফার, আবার কখনও পরীক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় সামগ্রী অতি দ্রুত তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ সারলেন। দেশবন্ধু ফর গার্লস কলেজে পরীক্ষার্থীদের একাংশ পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেখেন তাঁদের কাছে নেই অ্যাডমিট কার্ডের জেরক্স কপি৷ কেউ আবার নিজের দু’কপি ছবি ছাড়া চলে এসেছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। ভিতরে প্রবেশ করেই বিপত্তি। তাহলে কি চাকরি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা?
advertisement
এই ভাবনায় যখন তাঁরা উদ্বিগ্ন, তখনই এগিয়ে এল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ৷ কেন্দ্রের মধ্যেই পরীক্ষার্থীর ছবি তুললেন পুলিশ, দ্রুত পাঠানো হল সংশ্লিষ্ট এলাকার স্টুডিওতে। কিছু সময়ের মধ্যে স্টুডিও থেকে প্রিন্ট করে এনে ছবি তুলে দেওয়া হল পরীক্ষার্থীদের হাতে। পরীক্ষার জন্য এলাকায় বন্ধ জেরক্সের দোকান। তাতে কী, পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের জেরক্স লাগবে। সময় নষ্ট না করেই অ্যাডমিট কার্ডের ছবি তুলে পাঠানো হল থানায়। সেখান থেকে প্রিন্ট করে আনা হল অ্যাডমিট কার্ড। এ যেন এক ‘অন্য’ পুলিশ।তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের গল্প দূরে সরিয়ে সাহায্যর হাত বাড়াল এই তারাই। এমনকী যাঁরা দেরিতে এসে অপেক্ষা করছিলেন কেন্দ্রের দরজায়, তাঁদের প্রবেশের জন্যও পর্ষদের অফিসারদের কাছে অনুরোধ করেন পুলিশ কর্মীরাই। চাকরির পরীক্ষা বলে কথা তো!