কমিশন সূত্রের খবর, নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করা হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। কিন্তু প্রার্থীদের ইন্টারভিউ হবে আঞ্চলিকভাবে। ১৯৯৭ সাল থেকে এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুরু থেকেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলত আঞ্চলিকভাবে। সেই প্রক্রিয়ায় বাদ সাধে অতিমারি পরিস্থিতি। কমিশন সূত্রের খবর, ২০২১ সালে বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ভাবে উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায় শুধু তেল-চর্বি নয়, আরও ৬ সাধারণ খাবার!
পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের সুবিধার জন্য এসএসসি-র পাঁচটি অঞ্চল রয়েছে। সেগুলি হল পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে ইন্টারভিউ সম্পন্ন করতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় ভাবে নয়, আঞ্চলিক ভাবেই এই প্রক্রিয়া করা হবে।’’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে। দু’টি স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ ৩৫ হাজার ৭২৬টি। তার মধ্যে একাদশ ও দ্বাদশের ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদ রয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেছিলেন দু’লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন। তার মধ্যে ৩ হাজার ১২০ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম। শতাংশের নিরিখে পরীক্ষায় বসেছেন ৯৩%। সংখ্যায় ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৯৭ জন। নবম-দশম-এ শূন্যপদ ২৩ হাজার ২১২টি। পরীক্ষায় বসেছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন।
নিয়োগপ্রক্রিয়া যাতে দ্রুত শেষ করা যায়, তার জন্য ১০০টি শূন্যপদের জন্য ডাক পাবেন ১৬০ জন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ৩৫ হাজার ৭২৬ টি শূন্যপদের জন্য ডাক পাবেন ৬০ হাজার চাকরিপ্রার্থী। এর আগে পর্যন্ত ডাকা হত ১:৪ রেশিওতে। একাদশ-দ্বাদশের ইন্টারভিউ আগে নেওয়া নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, নবম-দশমের তুলনায় একাদশ-দ্বাদশে শূন্যপদের সংখ্যা অর্ধেক। সেই হিসাবে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাবেন তুলনায় অনেক কম প্রার্থী। প্রায় ২১ হাজার। তাই এই প্রক্রিয়া দ্রুত ও আগে শেষ করা হবে।
এসএসসি সূত্রের খবর, মডেল প্রশ্নপত্র চ্যালেঞ্জ করেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তা ভুল না সঠিক, সেটি যাচাই পর্ব ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার আগে সঠিক প্রশ্ন কোনটি, তা-ও প্রকাশ করা হবে।
