কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে মূলত যারা অনুপস্থিত তারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকা চাকরি প্রার্থী। সোমবার মূলত এরাবিক, উর্দু ও পিওর সাইন্স এর কাউন্সেলিং হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের মেধা তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সিলিং হয়েছে। এই দুদিন মূলত মেধা তালিকায় যারা প্রথম সারিতে রয়েছে তাদেরই কাউন্সিলিং বা স্কুল বাছাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্য থেকেই ১০০ জন চাকরি প্রার্থী অনুপস্থিত। কি কারনে অনুপস্থিত সেই বিষয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারিনি এসএসসি। গত এক বছরেরও বেশি সময়সীমা ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুলি। এই তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। চাকরি বাতিল পর্যন্ত হয়েছে একাধিক চাকরিপ্রার্থীর।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ইডির তলব অভিষেককে, বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ
ওএমআর শিট দুর্নীতির ঘটনাও এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ঘটনার জেনেই কি মেধাতালিকায় থাকা প্রথম সারির চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগের উপর আস্থা হারাচ্ছে? যদিও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাউন্সিলিং হাইকোর্টের নির্দেশেই হচ্ছে। তবে এর পিছনে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি তা অবশ্য মানতে নারাজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন “এর পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে।”
আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগেই বড় খবর, কর বাবদ কেন্দ্রের থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পেল রাজ্য
প্রসঙ্গত যারা অনুপস্থিত এই চাকরি নিতে তারা অবশ্য ২০২১-২২ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন যখন ইন্টারভিউ নিয়েছিল তখন তারা উপস্থিত ছিলেন। আর তা ঘিরেই প্রশ্ন উঠছে যে নিয়োগের দাবিতে বারে বারে আন্দোলন করেছেন চাকরি প্রার্থীরা সেই নিয়োগের জন্য যখন শেষ পর্যায় স্কুল বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে তখন কেন অনুপস্থিত থাকলেন চাকরি প্রার্থীরা? একাংশ এর অবশ্য দাবি দীর্ঘ আট বছরেরও বেশি সময়সীমা ধরে চলছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। আমি কি হয়তো এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর আস্থা না রাখতে পেরে অন্যান্য চাকরিতে চলে গিয়েছেন। তার জন্যই এই চাকরিপ্রার্থীরা অনুপস্থিত। অবশ্য এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলছেন “অনেকেই বাইরে চলে যেতে পারেন, অনেকেই অন্যান্য চাকরি করতে পারেন। আমাদের তরফে নির্দিষ্ট করে মেধা তালিকায় থাকা সব চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তো কথা বলা সম্ভব নয়।”
—— সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়