তখন থেকেই সংকল্প তৈরি করেন তিনি। নিজে শিক্ষিত হয়ে শুরু করেন বিনামূল্যে পাঠদান, নিজের বাড়িতেই। অনেকে জানেনই না! পড়াশোনা করে শিক্ষা অর্জন করে নিজের সমাজকে শিক্ষিত করার এই অদম্য প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। এই কাজ একজন প্রকৃত শিক্ষকের। প্রকৃত শিক্ষক শুধুমাত্র যে ডিগ্রি দিয়ে বিচার হয় এমনটাই নয়, মানসিকতা থেকে শিক্ষক হতে হয় আগে।
advertisement
খাতড়ার কাশিপুর গ্রামের যুবক অমৃত বাউরী প্রকৃত শিক্ষিত একজন শিক্ষক। সকাল থেকেই বাড়ির উঠোনে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে জায়গা করে যান তিনি। প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম নবম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়ে তার কাছে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে জীবন শিক্ষা সবই পেয়ে থাকে এই ‘দাদা শিক্ষকের’ কাছে। ছোট থেকে যাদের পড়াশোনার ইচ্ছে থাকে কিন্তু প্রচণ্ড অভাব এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের জন্য হয়ে ওঠে না, তারাই একমাত্র বোঝে প্রকৃত শিক্ষার মর্ম। তখন যদি কেউ একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে সেই শিক্ষা বদলে দিতে পারে সমাজ।
নিজে সেই অভাব বুঝতে পারেন অমৃত, নিজে বুঝে নিজেকে শিক্ষিত করে অবশেষে নিজের এলাকার শিশুদেরকে শিক্ষিত করার গুরু দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি। কিছু সহৃদয় মানুষ এবং কিছু সহৃদয় সংস্থা যোগাযোগ করেছেন তার সঙ্গে। দুঃস্থ এই ছাত্রছাত্রীদের জন্য অল্প কিছু ব্যবস্থা সেই ভাবেই তৈরি করতে পারেন অমৃত বাউরি।





