কর্মরত। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া তাঁর কাজ। বাড়ি সবংয়ে হলেও বাড়ি থেকে বেশ কয়েকশো কিলোমিটার দূরে তাঁর কর্মক্ষেত্র। তবে যেন কর্মক্ষেত্রকে নিজের বাড়িতে পরিণত করেছেন তিনি। যেভাবে নিজের বাড়ির সদস্যদের তিনি যত্ন আর্তি করেন তেমনি কর্মক্ষেত্রেও চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা মানুষজনের সেবাশুশ্রূষা করেন তিনি। একদিকে যেমন ইউপিএইচসি-র পরিকাঠামো এবং গুণগত মানের নজর রেখেছেন, তেমনই স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকেও বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন সকলে। আর এর ফলস্বরূপ মিলেছে পুরস্কার।
advertisement
সম্প্রতি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীন জাতীয় কোয়ালিটি সার্টিফিকেশনের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার হয়েছে রাজ্যের সেরা। এই কেন্দ্রের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক রয়েছেন প্রথম সেরাদের তালিকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর বাসিন্দা মিলন কাণ্ডার রয়েছেন প্রথম সেরাদের তালিকায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরিখে অসংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসা এবং সংশ্লিষ্ট চিন্তা ভাবনায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.১৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন– সেঞ্চুরির পর রোহিত শর্মা বিরাট কোহলিকে কি গালি দিয়েছিলেন? অর্শদীপ সিং সত্য প্রকাশ করলেন
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভা সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতায় গোটা রাজ্যে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। তাদের UPSC-3 হেলথ সেন্টার কেন্দ্রীয় সরকারের NQAS পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যের অন্যতম সেরা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘এনসিডি’ বা অসংক্রামক রোগ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন সবং-এর ছেলে মিলন। কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া পর্যবেক্ষণে মিলনের তত্ত্বাবধানে থাকা এই এনসিডি বিভাগ ৯৮.১৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, যা সমগ্র রাজ্যের মধ্যে প্রথম।
যেখানে জাতীয় ক্ষেত্রে একাধিক বিষয়ে নিরিখে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলাই কঠিন, সেখানে মিলন কাণ্ডার তাঁর বিভাগের দায়িত্ব সামলে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে দক্ষতায় তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাফল্য শুধু বসিরহাট নয়, উজ্জ্বল করেছে সবং-এর নামও। কর্মের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছেন প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মিলন ৷ বসিরহাট শুধু নয়, এখন আনন্দের উৎসব সবং-এও।





