২০১৪ সালে এক দুর্ঘটনায় বাবা মারা যাওয়ার পর চরম আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে আহিরন বাংগাবাড়ি হাইস্কুলের ছাত্রী শ্রেয়সী সরকার। তবে পড়াশোনার প্রতি বরাবরই আগ্রহ ছিল শ্রেয়সীর। সহযোগিতার হাত বাড়িতে দেয় স্কুল। স্কুলের হোস্টেলে থেকেই শ্রেয়সীর পড়াশোনা চালিয়ে যায়।
advertisement
৩ বছর আগে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রেয়সীর। একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন সন্তানসম্ভবা হলেও পরিবারের সহযোগিতায় পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে সে। শুরু হয়ে যায় উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি। তবে সোমবার পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে আহিরন ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শ্রেয়সীকে।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত SSC-র! অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা
সকাল সাড়ে ৯টায় সন্তান প্রসব করেই হাসপাতালের বেডে বসে সদ্যোজাত সন্তানকে পাশে নিয়ে সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা দিল শ্রেয়সী। খুশি শ্রেয়সীর পরিবার। মা সবিতা সরকার বলেন, 'সন্তান প্রসবে এখনও ৪ সপ্তাহ বাকি ছিল। রাত থেকে প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় খুব উৎকণ্ঠায় ছিলাম। কিন্তু ও শুধু বলে গিয়েছে আমি পরীক্ষা দেব। সন্তান প্রসবের পরে ও হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিল। আমরা খুব খুশি।'
শ্রেয়সীর স্কুলের শিক্ষক সঞ্জীব পাল বলেন, 'বাবা মারা যাওয়ার পর শ্রেয়সী খুব কষ্টের মধ্যে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোস্টেলে থেকে ওর পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। চরম শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যেও শ্রেয়সী মনের জেদে পরীক্ষায় বসেছে আর খুব উৎসাহের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছে। এটা আমাদের স্কুলেরও সাফল্য। আমরা সবাই খুব খুশি।'