প্রসঙ্গত শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য মে মাসে ১৬০০টি আসন তৈরি করা হয়। কিন্তু তারপরেও নিয়োগ না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা যোগাযোগ করেছিলেন এসএসসি দফতরের সঙ্গে। চেয়ারম্যানের তরফে আজ ওই সকল পরীক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়। দ্রুত কাউন্সিলিংয়ের নোটিশ ইস্যু করে নিয়োগ করা হোক এমনই দাবি তারা জানান এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছে।
advertisement
এই প্রতিনিধি দলের বক্তব্য চেয়ারম্যান তাদের জানিয়েছেন অতি শীঘ্রই সার্ভার রুমের কাজ তারা শুরু করতে পারবেন, তারপরই এসএসসি তরফ ে এই সকল পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে কাজ দ্রুত করা হবে। এমন কি তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে পুজোর আগেই তারা হাতে নিয়োগপত্র পাবেন। শুধু শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার প্রতিনিধি দল নয়, এদিন আপার প্রাইমারির পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলও নিয়োগের দাবি নিয়ে দেখা করেন এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আট বছর অতিক্রান্ত হলেও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। এই অবস্থায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা। অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার দাবিতে আরও একবার পথে নামতে চলেছেন চাকরি প্রার্থীরা। আজ ৪ আগস্ট কলকাতা চলার ডাক দেয় চাকরিপ্রার্থীরা। সংগঠনের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষের বক্তব্য, 'পুজো নয়, ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।'
এদিকে নিয়োগের দাবিতে ইতিমধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভে আছেন নবম-দ্বাদশের মেধাতালিকা ভুক্ত বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরাও। ধর্মতলায় শহিদ মিনারের কাছে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনকারী নবম-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের তরফে শহিদুল্লা জানান, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই শিক্ষা দফতর তাঁদের সমস্যার সমাধান করে দেবে বলে তাঁরা আশা রাখছেন। তাঁরা ৮ অগস্ট বৈঠক চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে চিঠিও দিয়েছেন।
অমিত সরকার