এই মুহূর্তে তিনজনই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্কুলের বাইরে। যার কারণে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান জানান, ‘স্কুলে ২৬৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাঁদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সরকারি যে সকল সুযোগ সুবিধা, সেগুলি তাঁদেরকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দরকার নোডাল অফিসার। বিভিন্ন দফতরের দেখভালের জন্য সাতজনের মধ্যে তিনজন নোডাল অফিসার এই মুহূর্তে স্কুল থেকে চলে গিয়েছেন। ফলে সেই কাজগুলি অন্য কোনও নতুন শিক্ষককে দিয়ে চালাতে অনেকটাই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
advertisement
পাশাপাশি, তিনি জানান, দীর্ঘদিন থেকে স্কুলে নেই গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কোনও কর্মচারী। ফলে স্কুলের কাজ তুলতে হয় শিক্ষকদেরকেই। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ানো হয় এই স্কুলে। সেটিও চরম সমস্যার মধ্যেই পড়েছে। কারণ সাতজনের মধ্যে চারজন শিক্ষক অঙ্ক-সহ বিজ্ঞান বিভাগ কী করে চালাবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: প্রথমে চাকরি গেল, এবার…! মুর্শিদাবাদে চাকরিহারা শিক্ষকের জীবন অন্ধকার, যা ঘটেছে জানলে কান্না পাবে!
সহকারী শিক্ষক মিন্টু সিংহ জানান, ‘নোডাল অফিসার হিসেবে যে সকল শিক্ষকেরা যুক্ত ছিলেন তাঁদের মধ্যে তিনজনই এই মুহূর্তে স্কুলে নেই। কাজেই অন্য কোনও শিক্ষকের তাঁর কাজ বুঝে উঠতেও একটু সময় লাগবে। ফলে অনেকটাই সমস্যা হবে স্কুলের পঠনপাঠনে। কারণ, এই নোডাল অফিসার হিসেবে যারা এতদিন ধরে কাজ করে এসেছেন, তাঁরা অনেকটাই পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এই কাজের ফাঁকেও তাঁরা পঠনপাঠনটাও চালিয়ে যেতেন। কিন্তু নতুন কাউকে সেই জায়গাটায় পৌঁছতে সময় তো লাগবেই। কাজেই অফিসারদের কাজ ঠিকই উঠবে কিন্তু পঠনপাঠনে প্রবল সমস্যায় পড়তে হবে পড়ুয়াদের।
কৌশিক অধিকারী