মূল কারণ হিন্দি মাধ্যমের শূন্যপদ। নবম-দশম শ্রেণিতে বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দি মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২,২৫১টি। এত বিপুল শূন্যপদ আগে কখনও একসাথে হয়নি। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, প্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই হিন্দি মাধ্যমে শূন্যপদ ফাঁকা থেকে যায়। কারণ পর্যাপ্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা পাওয়া যায় না। ফলে বছর বছর সেই শূন্যপদ থেকে যায় অপূর্ণ।
advertisement
যোগ্য প্রার্থী হয়েও আবার এসএসসি পরীক্ষায় বসতে হবে! আক্ষেপ আন্দোলনকারী শিক্ষক হুমায়ুন ফিরোজের
সেই কবে বিএড করে বসে আছেন! অবশেষে SSC! ‘ফল প্রকাশ হবে তো?’ উৎকণ্ঠায় সোনারপুরের সাহিদা
প্রায় আট বছর নয় মাস ধরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর এ বছর ফের নিয়োগ শুরু হওয়ায় একসাথে জমেছে বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ। বিশেষ করে হিন্দি মাধ্যমে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বাইরে থেকে বহু পরীক্ষার্থী এই সুযোগ নিতে এসেছেন।
একজন শিক্ষা দপ্তরের কর্তা জানান, “হিন্দি মাধ্যমের পদ নিয়ে সবসময়ই সমস্যা থেকে যায়। এবার এত বেশি শূন্যপদ থাকায় ভিনরাজ্য থেকে পরীক্ষার্থীর ভিড় অস্বাভাবিক নয়।”
ফলে দেখা যাচ্ছে, বাংলার এসএসসি পরীক্ষার হলে নতুন এক চিত্র—স্থানীয় পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিড় জমাচ্ছেন ভিনরাজ্যের তরুণ-তরুণীরাও। তাঁদের উপস্থিতি প্রমাণ করছে, হিন্দি মাধ্যমের শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে এখন ভিনরাজ্যের যোগ্য প্রার্থীদের কাছেও এক বড় সুযোগ হয়ে উঠেছে।
প্রতীকী ছবি, এসএসি শুরুর আগের মুহূর্ত
এই পরিস্থিতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, হিন্দি মাধ্যমে শিক্ষকের সংকট মেটাতে এটি জরুরি পদক্ষেপ, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন—বাংলার স্কুলে ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ পেলে স্থানীয়রা কি পিছিয়ে পড়বেন না?
সবমিলিয়ে, রাজ্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষায় হিন্দি মাধ্যমের শূন্যপদ একদিকে যেমন আশার আলো দেখাচ্ছে, অন্যদিকে ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীর ভিড় নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।