TRENDING:

US Study: সাফল্যের দরজা! মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা কী কী সুবিধা উপভোগ করেন?

Last Updated:

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক ৫ জন আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১ জন ভারতীয়। (US Study)

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
advertisement

#নয়াদিল্লি: প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ারা উচ্চ মানের শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইনস্টিটিউ অফ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন দ্বারা প্রকাশিত ওপেন ডোরস (Open Doors) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক ৫ জন আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১ জন ভারতীয়।

উচ্চ মানের শিক্ষার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য বিভিন্ন রকম বিকল্প প্রদান করে। ফ্লেক্সিবল কারিকুলাম থাকার কারণে পড়ুয়ারা নিজের ইচ্ছে মতো যে কোনও মেজর এবং মাইনর বিষয় বেছে নিতে পারেন। প্রত্যেক ছাত্রকে আলদাভাবে গবেষণা করার সরঞ্জাম, ল্যাব, ব্যক্তিগত মেন্টর এবং অর্থনৈতিক সাহায্যও প্রদান করা হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর, দুই ধরনের শিক্ষার্থীদের প্রথম থেকেই গবেষণা করার সুযোগ প্রদান করা হয়। ব্যক্তিগত দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের বিভিন্ন রকমের স্বেচ্ছাসেবী কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যার ফলে তাঁদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া, কলেজ থেকে পাস করার আগেই প্রফেশনাল জগতের সঙ্গেঁ তাদের পরিচয়ের সুযোগ দেওয়া হয় যা ভবিষ্যতে গিয়ে অনেক কাজে লাগে। মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেক বছর পড়ুয়াদের সমস্ত সুযোগ প্রদান করে।

advertisement

আরও পড়ুন: ত্বকে কালচে ছোপ? ডায়াবেটিসের উপসর্গ হতে পারে! জানুন

একাধিক বিকল্পের সুবিধা

উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা একাধিক বিকল্পের সুবিধা পান। ন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন স্ট্যাটিসটিক্স-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩,৯৮২।

ইউনাইটেড স্টেটস-ইন্ডিয়া এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অদিতি লেলে বলেন, “পড়ুয়াদের কাছে একাধিক বিকল্প থাকে যেখানে থেকে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছে মতো বিষয় বেছে নিতে পারে।” লেলে আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি শেষ করেছেন।

advertisement

তিনি আরও বলেন, “ছোট, মাঝারি এবং বড়, শহর এবং গ্রাম্য পরিবেশে সব রকমের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং কমিউনিটি কলেজও রয়েছে। এই কমিউনিটি কলেজ থেকে ২ বছরের ডিগ্রি শেষ করে ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করে এমনও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে পারেন। সব কিছুই তাঁদের অ্যাকাডেমিক প্রয়োজনীয়তা এবং ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।”

advertisement

আরও পড়ুন: কান-এর লাল কার্পেটে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের 'কালাজাদু'! দেখুন ভাইরাল ছবি

ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি টাউনের ফুটহিল নামে একটি কমিউনিটি কলেজের ছাত্র আর্ষ থ্যাকার বলেন, "ছোট থেকে শুরু করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানিয়ে চলা সহজ হয়ে গিয়েছে"।

তিনি বলেন, “ফুটহিল কলেজে পড়াশোনা আমাকে স্বাধীনতার অনুভূতি প্রদান করার পাশাপাশি আমাকে মানিয়ে চলতে শিখিয়েছে। কমিউনিটি কলেজের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আমি উচ্চ মানের শিক্ষা এবং সাহায্য পেয়েছি যার ফলে আমার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জীবনযাত্রার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ক্লাসের সাইজের কারণে আমি অধ্যাপকদের সঙ্গে অনেক বেশি খোলামেলা ভাবে কাজ করতে পেরেছি যা আমার জন্য খুবই উপকারী সাব্যস্ত হয়েছে।” আর্ষ কমিউনিটি কলেজ শেষ করার পর সেন দিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছরের কোর্সে পড়াশুনা শুরু করে।

advertisement

ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ডে অবস্থিত নোতর দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ছাত্র বৈভব অরোরা বলেন, “আমি ক্লাসরুমে যা শিখেছি সেটাকে ফিল্ডে ইমপ্লিমেন্ট করা ছাড়াও আমি ইন্ডাস্ট্রির অনেক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছি। সিনিয়র এবং অধ্যাপকদের থেকে বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া পেয়েছি এবং বাস্তব জগতে কীভাবে প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমধান করতে হয় তার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।”

ওহাইয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস মেজরের ছাত্রী অনন্যা পোটলাপল্লী বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা ভবিষ্যতের জন্য অনেক দরজা খুলে দেয়। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ক্লাসরুমের ভেতরের শিক্ষা ছাড়াও ইন্টার্নশিপ এবং অন্যান্যভাবে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার অভিজ্ঞতা হয়। ক্যাম্পাসে পা রাখার মুহূর্ত থেকেই শিক্ষার্থীর কাছে সিলেবাসের পড়াশোনা ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষামূলক কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।"

সাপোর্ট নেটওয়ার্ক

অদিতি লেলে আরও বলেন যে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতক ডিগ্রি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কেরিয়ার তৈরি করার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও যথেষ্ট খেয়াল রাখে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

তাঁর বক্তব্য, “মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য যথেষ্ট কাজ করে। তাঁদের জন্য স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কেরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের সুবিধা প্রদান করা হয়। এছাড়া, ছাত্রদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য রয়েছে হেলথ সাপোর্ট সার্ভিস।”

বাংলা খবর/ খবর/চাকরি ও শিক্ষা/
US Study: সাফল্যের দরজা! মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা কী কী সুবিধা উপভোগ করেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল